লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে যানবাহন পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে। ১ জুলাই তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি সবাইকে আহ্বান করব, যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়। তাতে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ হবে এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসার কথা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় ১২-১৫ হাজার বেড করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা আছে। আমাদের এখন যথেষ্ট বেড আছে। হাইফ্লো ন্যাজাল লাগানো বেড আছে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় এক হাজার ৬০০টি। অপিজেন আছে, ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। সেদিক থেকে আমরা মনে করি, একটা সহনীয় পর্যায়ে আছি। আমাদের এখন থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট লোক আছে। তার পরও সংকটটা এড়ানোর জন্যই লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের সক্ষমতা কমে যেতে পারে। বিদেশে যারা কর্মী যান, সে জায়গাটা ব্যাহত হবে। ভিসা পেতে কষ্ট হবে, ভিসা দিতে চাইবে না। কাজেই সব দিকে লক্ষ্য রেখে জীবন রক্ষা করতে হবে। দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’