স্পোর্টস ডেস্ক : কোটি টাকার টুর্নামেন্টের প্রথমবার খেলতে নামা দল। গ্রুপ পর্বের প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে পৌঁছনো। প্রথম দল হিসেবেই পাকা ফাইনালের টিকিট।
সবদিক থেকে সবার আগে থাকা এমন দলকে প্রথম স্থান থেকে সরায়, সাধ্যি কার! এ প্রয়াসে ব্যর্থ আইপিএল ইতিহাসের প্রথমবারের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানও।
আর তাই ন’টি দলকে পিছনে ফেলে প্রথমবারেই প্রথম হওয়ার নজির গড়ল গুজরাট টাইটান্স। নিজেদের অভিষেক মরশুমের স্মৃতি নিঃসন্দেহে আগামী দিনে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা।
আর করোনা কালের পর দেশে ফেরা ১০ দলের এই হাইভোল্টেজ আইপিএলকে বহুকাল মনে রাখবেন দর্শকরাও। হার্দিকের কারিশমায় গুজরাট আইপিএল চ্যাম্পিয়ন!
২০০৮ সাল, অর্থাৎ আইপিএলের উদ্বোধনী মরশুমে রাজস্থানকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। তাই সুপার সানডের মেগা ফাইনাল সঞ্জুদের কাছে ছিল ভীষণ আবেগের।আরও একবার ফাইনাল জিতে তা ওয়ার্নকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন জস বাটলাররা। গোটা টুর্নামেন্টে তাঁদের পারফরম্যান্স ছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই।
কিন্তু তীরে এসে ডুবল তরী। টস জিতে যেখানে প্রায় প্রত্যেক সময় প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছেন অধিনায়করা। কিন্তু এদিন সঞ্জু করলেন উলটোটা। হয়তো চাপমুক্ত হয়ে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাট পেসার ও স্পিনারদের দাপটে সে গুড়ে বালি।
দুই ওপেনার যশস্বী জেসওয়াল ও বাটলার শুরু মন্দ করেননি। তবে ব্যাটারদের ক্রিজে টিকতেই দিলেন না পাণ্ডিয়া, রশিদ খানরা। ১৭ রান দিয়ে একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন হার্দিক।
২ ওভারে ২০ রান দিয়ে জোড়া উইকেট পান সাই কিশোর। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রাজস্থানের মিডল অর্ডার। সঞ্জু ফেরেন ১৪ রান করে।
ফাইনালের টার্গেট যখন ১৩১ রান হয়, তখনই যেন ম্যাচ হয়ে পড়ে একপেশে। তবে এসব সত্ত্বেও হয়তো লড়াইটা অন্তত হাড্ডাহাড্ডি হতেই পারত, যদি দুবার শুভমানের ক্যাচ মিস না হত।-