সেপ্টেম্বর ২০২৪ এক মাসেই সারা দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬৮২ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু রয়েছে—এমন তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) পাঠানো প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই ১৫১টি ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট মৃত্যুর ৩৪.২৯ শতাংশ।
এ ছাড়া ১১২ জন পথচারী (২৬.৮৫%), এবং ৫৬ জন চালক ও সহকারী (১৩.৪২%) মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন ব্যবসায়ী, ৯ জন বিক্রয় প্রতিনিধি, ৭ জন শিক্ষক, ৬ জন রাজনৈতিক কর্মী ও ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সাংবাদিক ছিলেন।
বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিভাগে ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৮.৮৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন নিহত।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পাশাপাশি ২৯টি রেল দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১১টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, খারাপ সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা অনির্দিষ্ট থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, ট্রাফিক আইন অমান্য ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।
দুর্ঘটনা রোধে ফাউন্ডেশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো—দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও বেতন নিশ্চিত করা, মহাসড়কে সার্ভিস রোড তৈরি, রোড ডিভাইডার নির্মাণ ও গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।