কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমছে অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে। বিপুল পরিমাণ মানুষের খাদ্য চাহিদা যোগান দেয়া আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ধানের অনেক নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) জেলার গোমস্তাপুরের চিনিয়াতলা এলাকায় ব্রি- ৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, আগে বরেন্দ্র অঞ্চলে একবার ধান হতো। এখন কয়েকবার ধানের আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের গবেষকরা ব্রি-৮১, ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৬ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আরেকটি নতুন জাতের ধান ব্রি-১০০ উন্মুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রি- ৮১ জাতের ধান চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বিঘা জমিতে ৩১ মণ ফলন হয়েছে, এরচেয়ে বেশি কি হতে পারে? আগে কৃষকরা ২৮ ধান উৎপাদন করতো, এখন ব্রি-৮১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতটি চাষের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
জেলার আম রফতানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু আম সারাবিশ্বের মানুষকে খাওয়ানো হবে।এসময় জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল আফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য
ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ফেরদৌসী ইসলাম জেসীসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।