ঈদে লম্বা ছুটির দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করা দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
শিল্প পুলিশ বলছে, শ্রমিকদের একটি দল সোমবার সকালে টঙ্গীর মিল গেট এলাকায় এবং আরেকটি দল কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের (জোন-২) অতিরিক্ত সুপার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “সরকার তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করলেও টঙ্গীর মিল গেট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা ১০ দিনের ছুটি দাবিতে করেন। দুপুরের দিকে তারা কারখানায় ভাংচুর করে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।
“পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
এ সময় প্রায় ২০ মিনিট ওই মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় জানিযে তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে আবা যান চলাচল শুরু হয়।
টঙ্গীর হা-মীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সরকারি তিন দিনের ছুটির পরিবর্তে শ্রমিকরা ১০ দিন দাবি করেন। কর্তৃপক্ষ সাত দিন মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখায়।
“একপর্য়ায়ে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি করে। এতে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পারভেজ হোসাইন বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় রাবার বুলেটে আহত ২০ শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আহত একজন পুলিশ সদস্যকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
তাছাড়া জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকার স্টার লিংক ডিজাইন নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা ঈদে ১২ দিনের ছুটি দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
কারখানাটি শ্রমিক আসমা খাতুন বলেন, “শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন ঈদের ছুটি তিন দিন দেওয়া হয়েছে। তখন তারা ১২ দিন ছুটির দাবিতে কাজ বন্ধ করে কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেয়; বিক্ষোভ দেখায়।”
পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করলে তারা ফিরে যান বলে জানান গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. কমর উদ্দিন। দুই কারখানা চত্বরেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
