গরুর মাংস ও মুরগির দাম

অর্থনীতি দেশ জুড়ে বাংলাদেশ

ঈদের আগে বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। ঢাকায় আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে গরুর মাংসের দাম বাড়ল ২০ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সোমবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল ও মুগদা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

খিলগাঁও খলিলের মাংসের দোকানে এতদিন গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকায়। আজকে বিকেলে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, প্রথম রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত ৫৮০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। আজকে থেকে দাম ৬০০ টাকা।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবারই ঈদের আগে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ে। এছাড়া গরু কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। আর আমরা দেশি গরু জবাই করে টাটকা মাংস বিক্রি করি। এখানে কোনো ভেজাল নেই।

একই কথা বললেন মুগদার গরুর মাংস বিক্রেতা স্বপন। তিনি বলেন, আজকে থেকে ৬০০ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। ছোট দেশি গরুর মাংস ৬২০ টাকা কেজি। পাশেই খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়।

এদিকে প্রায় দুই সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মুগদার মুরগি ব্যবসায়ী পলাশ জানান, গতকালও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। আজকে ১৪০ টাকা বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে ১২০ টাকায়ও বিক্রি করেছি। সব মুরগির দামই কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি। এছাড়া আজকে সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়, লেয়ার (লাল) ২২০ টাকায়।

খিলগাঁও বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা সাহাবুদ্দিন নামে এক ক্রেতা জানান, এ দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ে কোনো সময় কমে না। রোজার আগে গরুর মাংস কিনেছি প্রতি কেজি ৫৬০ টাকায়। আজকে ৬০০ টাকা। তার মানে কেজিতে ৪০ টাকা বেশি দিতে হলো। দাম নিয়ন্ত্রণে কেউ নেই।

এদিকে বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হলেও ঈদের আগে বেড়েছে শসা ও টমেটোর দাম। মতিঝিল বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির বলেন, আজকে বাজারে শসা ও টমেটোর দাম চড়া। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর টমেটো ৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পেঁপে ও ঢেঁড়স ৪০ টাকা, গাজর ৪০, আলু ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হয়। লাউ ও চালকুমড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু প্রতি হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকায়। শাকের দাম এক দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল। পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক ও পাটশাক প্রতি আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছে।

মুদি ব্যবসায়ী কবির জানান, আদা রসুনের দাম একটু কমেছে। আর অন্যান্য পণ্য আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের বোতল এক লিটার ১৪০ টাকা, ৫ লিটার ৬৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ভালো মানের কেজি ১৩২ টাকা ও সুপার তেল ১২০ টাকা। পেঁয়াজ ৩৫ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে দেশি আদা ৯০ ও রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চায়না রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোট দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা এবং মোটা দানা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা আর খেসারি ৭৫ টাকা, ডাবলি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অ্যাংকর ডালের বেসন ৬০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।