আল-জালা নামের ওই ভবনেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার কার্যালয় ছিল।
শনিবার বিমান হা’মলা চালানোর আগে ইসরায়েল ভবনটি থেকে বেসা’মরিকদের সরে যাওয়ার জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভবনটিতে এপি ও আল-জাজিরার কার্যালয় ছাড়াও আরও অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় এবং অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। ভবনটির মালিক ভবনের সঙ্গে হা’মাসের সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দিয়েছেন।
ভবনটিতে ইসরায়েলি হাম’লায় এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো গাজার একটি বহুতল ভবনে আঘাত হেনেছে। ভবনটিতে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামা’সের গোয়েন্দা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সাম’রিক সরঞ্জাম ছিল বলেও দাবি করছে তারা।
হা’মলার আগে ভবনটির বেসা’মরিক নাগরিকদের হা’মলার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল, যেন তারা ভবনটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, বলেছে তেল আবিব।
এপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি প্রুট ইসরায়েলের এ হাম’লায় ‘স্তম্ভিত’ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ভবনটিতে এপি’র ডজনখানের সাংবাদিক ও ফ্রিল্যান্সার থাকলেও হাম’লার আগে আগে তারা সেখান থেকে সরে যেতে সক্ষম হয় বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
“আজ যা হলো, তার কারণে বিশ্ব এখন গাজায় কী হচ্ছে সে সম্বন্ধে আরেকটু কম জানবে,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা হাম’লার আগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে বলেছিল।
আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মোস্তেফা সৌয়াগ আল-জালা ভবনে হাম’লাকে ‘বর্বর’ অ্যাখ্যা দিয়ে এর জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
“জঘন্য এই হা’মলার উদ্দেশ্য ছিল গণমাধ্যমকে চুপ করিয়ে দেওয়া এবং গাজার জনগণের অবর্ণনীয় কষ্ট ও হত্যাযজ্ঞকে আড়াল করা,” এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন।
গাজাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া সংঘ’র্ষে এখন পর্যন্ত হা’মাস ইসরায়েলের দিকে ২ হাজারেরও বেশি রকেট ছুড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর পাল্টায় ইসরায়েলও একের পর এক বিমান হা’মলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সং’ঘর্ষে ৩৯ শিশুসহ অন্তত ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি চিকি’ৎসকরা। হা’মাসের রকেটে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ ৯ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।