মালয়েশিয়ায় আগামী মঙ্গলবার (০১ জুন) থেকে শু’রু হতে যাওয়া ল’কডা’উনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা খাতসহ প্রায় ১৭টি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব।
স্থানীয় সময় রোববার (৩০ মে) বিকেল ৫টায় দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তান শ্রী ডা. নূর হিশাম আবদুল্লাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুবের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় ল’কডা’উনে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে তা হলো-
আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কী’টনা’শক, কৃষি য’ন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণবিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কো’ভি’ড-১’৯ টিকা দেওয়া, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, ই-কমার্স, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি)।
এছাড়া খোলা থাকবে সংবাদমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), ব্যাংকিং, বীমা, তাকাফুল, পুঁজিবাজার,
বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ মেরামত, হোটেল এবং বাসস্থান (শুধুমাত্র কো’য়ারেন্টা’ইনের জন্য), ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস তাদের কর্মচারী ও যানবাহন স্বাভাবিক থাকবে। পাশাপাশি টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়ত করা যাবে।
চলমান কো’ভি’ড-১’৯ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে এ
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি লকডাউনে যেন মানুষের চলাচল যতটা সম্ভব বন্ধ করা যায়। কারণ, যেভাবে করোনা ছড়া’চ্ছে তাতে
মানুষের ঘরে থাকা জরুরি। এছাড়া এসওপির নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য পরিবারের ২ জন সদস্যের বেশি কেউই বাসার ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের বাহিরে যেতে পারবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এর আগে নতুন করে ক’রো’নাভাই’রাসে’র প্রাদুর্ভাব বৃ’দ্ধির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার থেকে সারা দেশ দুই সপ্তাহের জন্য ল’কডা’উন ঘোষণা করে সরকার। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাড়ি থেকে বের
হতেও নি’ষেধা’জ্ঞা আ’রো’প করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে তবে, বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এছাড়াও দেশটিতে প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষে’প নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জো’রদার করবে।