কিছু পণ্যের শুল্ক-করহার বাড়ানো হয়েছে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। বাজেটে শুল্ক-করের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা ঘোষণার পরপরই কার্যকর হয়।
যেসব পণ্যে শুল্ক-করহার বাড়ানো হয়েছে, সেগুলো:
মুঠোফোন
বাজেটে মুঠোফোন (সেলুলার ফোন) আমদানিতে আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি মুঠোফোনের দাম আরও বাড়তে পারে।
বিদেশি মাংস
মাংস আমদানিতে শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। বসানো হয়েছে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট। আবার ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদেশি মাংসের দাম বাড়বে। দেশীয় খামারিদের সুরক্ষা দিতে কাজটি করেছে সরকার।
মাশরুম
বিদেশি মাশরুমের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে। এই মাশরুম আমদানিতে আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাশরুম আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথা বলা হয়েছে।
বিদেশি গাজর-টমেটো
চাষিদের সুরক্ষা দিতে গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, টমেটো ও কমলা আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথা বলা হয়েছে। এতে এসব পণ্য আমদানিতে কম দাম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া যাবে না। দাম বাড়তে পারে। গাজরের ওপর ভ্যাটও আরোপ করা হয়েছে।
শিল্প লবণ
শিল্প লবণের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। এতদিন শিল্প লবণের নামে ভোজ্য লবণ আমদানি হত। এখন দুই লবণের করহারের সমন্বয় করা হয়েছে।
বিদেশি সাবান
সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে।
চুইংগাম
এর ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে।
বিদেশি বিস্কুট
বিস্কুট ও সমজাতীয় সুগার কনফেকশনারির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম অনেকটাই বাড়তে পারে।
বিদেশি রড ও সমজাতীয় পণ্য
আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে। অবশ্য রডের বাজার মূলত দেশীয় কোম্পানির দখলে।