সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর পর বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে ঘোরাঘুরি করা যাবে না।
যাদের অফিস খোলা বা কর্মস্থলে যেতে হবে, তাদের অবশ্যই পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। যাদের পরিচয়পত্র নেই, তাদের পুলিশের মুভমেন্ট পাস বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতিপত্র দেখাতে হবে।
দুই একদিনের মধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিষয়টি পরিস্কার করে নোটিশ দেওয়া হতে পারে।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ডিএমপির ইউনিট প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে লকডাউন কার্যকরে পুলিশের করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘আমরা চাই ১ জুলাই থেকে মানুষ বিনা কারণে যেন ঘরের বাইরে বের না হন। উপযুক্ত কারণ ছাড়া বের হলেই গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট থাকবে। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তাহলে কেন মানুষ বিনা কারণে যাতায়াত করবে। পরিবার, সমাজ ও দেশের কথা বিবেচনায় কিছুদিন সব বিধিনিষেধ মেনে চলা দরকার। তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলে দু’জন ওঠা যাবে না। কেউ চাইলে একা মোটরসাইকেলে যেতে পারবেন। তবে রাস্তায় অহেতুক কাউকে দেখতে চাই না।’
এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা ও কর্মপন্থা ঠিক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় তল্লাশি চৌকি ছাড়াও সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। এছাড়া অতি জরুরি কাজে বের হতে হলেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বের হতে হবে। নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা না মানলে বল প্রয়োগ করতেও পুলিশ পিছপা হবে না।
পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে এবার রাজধানী ঢাকার প্রবেশ ও বাহির পথগুলোয় কড়াকড়ি থাকবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সোমবার থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় যাতে পণ্যবাহী যান আর রিকশার বাইরে কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে না পারে, সেজন্য ট্রাফিক বিভাগ ছাড়াও প্রত্যেক থানার ওসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর ভেতরেও চেকপোস্ট থাকবে। এসব চেকপোস্টে প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত থাকবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা সমকালকে বলেন, লকডাউনের বিষয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপনের আলোকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। গণপরিবহন, শপিংমলসহ যা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকর করতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।