ইভটিজিংয়ের জেরে দুই গ্রামের সং’ঘ’র্ষ-গুলি, আহ’ত ১০

গণমাধ্যম জাতীয় দুর্ঘটনা দেশ জুড়ে বিশেষ প্রতিবেদন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুই কিশোরীকে (১৫) ইভটিজিংয়ের জেরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সং’ঘ’র্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন ‘আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যার পর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে পূর্ব মধুপুর গ্রামের চুঙ্গার পোল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

 

 

গুলিবিদ্ধরা হলেন- গোপালপুর ইউনিয়নের মির্জা নগর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. বেচু মিয়া (৫০) ও তার ছেলে মো. নুর নবী (১১) এবং মধুপুর গ্রামের আবদুর রবের ছেলে মো. হাসান (২৬)। এছাড়া স্থানীয় আবুল খায়েরের ছেলে আবুল হোসেন (৪১), জসিম উদ্দিনের ছেলে মো.আলা উদ্দিনসহ (৪০) আরও অন্তত সাতজন আ’হত হয়েছে।

 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপালপুর ইউনিয়নে পূর্ব মধুপুর গ্রামের দুই কিশোরী (সামলা ও শান্তা) সাজগোজ করে বাড়ির পাশে ঘুরতে বের হয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী এলাকার পশ্চিম মধুপুর গ্রামের কয়েকজন বখাটে তাদের ইভটিজিং করে এবং একপর্যায়ে বখাটেরা মুঠোফোনে দুই কিশোরীর সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে।

বিষয়টি পূর্ব মধুপুরের কয়েকজন ছেলের নজরে পড়লে তারা পশ্চিম মধুপরের ছেলেদের ছবি তুলতে বারণ করে এবং এতে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। অন্যদিকে ইভটিজিংয়ের শিকার কিশোরীরা বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের জানালে তারাও অভিযুক্ত ছেলেদের শাসিয়ে যায়।

 

 

পরে এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বখাটেদের পক্ষ নিয়ে পশ্চিম মধুপুরের অস্ত্রধারী ১৫-২০ জনের দল পূর্ব মধুপুর গ্রামে এসে এলাকাবাসীর ওপর গুলি ছোঁড়ে। এতে দুই পথচারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং ছুটোছুটিতে আরও সাতজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’