বাংলাদেশকে খেলায় ধরে রাখলেন সাকিব-মেহেদী

খেলাধুলা

১৫৪ রানের লক্ষ্য। আগের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির ছুঁড়ে দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিল ওমান। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে লক্ষ্যটা একটু বেশি, এই যা। প্রথম ওভারে তাসকিন যেভাবে উদার হস্তে ওয়াইড, লেগবাই রান দেয়া শুরু করেছিলেন, তাতে শঙ্কা জেগেছিল বৈকি।

 

কিন্তু না, সেই শঙ্কা নিমিষে দুর করে দেয়ার চেষ্টা করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে অবশ্য প্রথম বলটাই দিয়েছিলেন ওয়াইড। পরের বলেই এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলেন। রিভিউ নিলেন ওমানের ব্যাটার আকিব ইলিয়াস। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না।

 

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মোস্তাফিজের মত বোলার ওই ওভারেই দিলেন ৫টি ওয়াইড। সম্প্রতি আইপিএল খেলে এসে ওমানের মত দলের বিপক্ষে এতটাই প্যানিকড হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা, যে তাতে ওয়াইডের মেলা বসিয়ে ফেলেছে। শুরুতে তাসকিন দিয়েছিল ৪টি অতিরিক্ত রান। এরপর মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে ৫ ওয়াইডসহ দিলেন মোট ১২ রান।

 

সাকিব আর সাইফউদ্দিনকে দিয়ে এই ওয়াইডের বন্যা কিছুটা থামিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬ষ্ঠ ওভারে আবারও মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক রিয়াদ। ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন জতিন্দর সিং। বল উপরে উঠে যায়। বোলারসহ তিন-চারজন সেটা ধরতে পারতেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ এক্সট্রা কভার থেকে দৌড়ে এসে তা ধরতে গেলেন। কিন্তু বল পড়ে গেলো হাতের ফাঁক গলে।

 

এক বল পরেই ছক্কা। এরপর মোস্তাফিজের বল থেকে আর বাঁচতে পারলেন না কাস্যপ প্রজাপতি। নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ১৮ বলে করলেন ২১ রান।

 

শুরুতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। এরপর শেখ মেহেদী এবং সাকিব আল হাসান এসে রানের চাকার কিছুটা লাগাম টেনে ধরতে পেরেছেন। যদিও একটি-দুটি আলগা বল দিয়ে মার খেয়েছেন সাকিব।

 

 

তবে ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মেহেদী। ১২তম ওভারে তার বলে ক্যাচ তুলে দেন মাকসুদ। সেই ক্যাচ ধরেন মোস্তাফিজ।

 

১৩তম ওভারের শেষ বলে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। বিধ্বংসী হয়ে ওঠা জতিন্দর সিংকে ফেরান সাকিব। ক্যাচ ধরেন লিটন। ৩৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি।

 

এ প্রতিবেদন লেখার সময় ওমানের রান ১৩.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৫। ২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সন্দিপ গোউদ এবং ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আয়ান খান।