অভিনেত্রীদের যত কেলেঙ্কারি

বিনোদন

একটা সময় ছিল যখন বাংলা চলচ্চিত্রের তারকাদের সাধারণ জীবনযাপনের প্রেমে পড়তেন মানুষ। তাদের অভিনয় তো বটেই বাস্তব জীবনের কর্মকান্ডও প্রভাবিত করত ভক্তদের। কিন্তু বর্তমানে যারা অভিনয় জগতে কাজ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে কি এমন ঘটনার কথা বলা যায়?
বিনোদন জগতের লাইট, ক্যামেরার পেছনে আছে আরেকটি জগৎ, যা সাধারণ মানুষের চোখের বাহিরে। বিনোদন জগতের বাহিরে এই তারকাদের চেহারাটা যেন ভিন্ন।

পরিচয়, বিজ্ঞাপনের মডেল এবং সিনেমার অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা। তবে পেশায় একজন মডেল হলেও আড়ালে বেছে নিয়েছিলেন ভিন্ন পথ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে পূজি করে বিভিন্ন ফেক আইডির ছলে টার্গেট করতেন প্রবাসীদের। প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসহায়ত্বের বেশ ধরে সুযোগ নিতেন। দেশে ফিরলে তার কথিত প্রেমিকদের সঙ্গে একান্তে দেখা করে আপত্তিকর ছবি তুলে করতেন ব্ল্যাকমেইল, হেনস্তা।

তারই প্রতারণার শিকার কামরুল হাসান জুয়েল আইনের শরণাপন্ন হলে গ্রেফতার হন রোমানা। তখনই বের হয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কখনো ফ্ল্যাট আবার গাড়ি কেনার নাম করে ভুক্তভোগী কামরুলের কাছ থেকে দুই কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রোমানাসহ তার সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্র। পরে তদন্তে বের হয় এমন প্রতারণা করে মোট ২৮ জনকে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী ও মডেল রোমানা।

এমন প্রতারণার তালিকায় আছেন আরেক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌ। বছরখানেক আগে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধষর্ণ মামলায় পিয়াসার স্বামী গ্রেফতার হলে তখন আলোচনায় আসেন পিয়াসা। অন্যদিকে মৌ-র পরিচয় ‘লেডি মাফিয়া গ্যাং লিডার’ হিসেবে। ঢাকা শহরে নাকি একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে তার। অভিযান চালিয়ে পিয়াসা ও মৌ-র বাসা থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সারা দেশে তুমুল আলোচনার ঝড় তোলেন পরীমনি। পরে অভিনেত্রী বাসা থেকে র‍্যাবের সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযানের পর বিপুল পরিমাণে বিদেশি ব্র্যান্ডের মদসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে চলচ্চিত্র পাড়া। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।

এদিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের চিত্রনায়িকা একা। প্রয়াত সুপারস্টার মান্নার সঙ্গে কাজ করে পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী একটা সময় চলে যান অন্তরালে। তবে হঠাৎই আলোচনায় আসেন নিজ বাসার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অভিনেত্রী একার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন তার গৃহকর্মী হাজেরা এবং একই সঙ্গে একার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।

তারকা, মডেল, অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে এমন অভিযোগ সামনে আসায় শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টিতে অবনমন হয়েছে। সবার প্রত্যাশা–সব তারকার জীবন হোক অনুকরণীয়-অনুসরণীয়।