গায়ক আকবরের পা কেটে ফেলার শঙ্কা, স্ত্রীর আকুতি

দেশ জুড়ে

একসময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আকবর আলী গাজীর পায়ে পচন ধরেছে, চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তবে স্ত্রীর অনুরোধ, পা না কেটে অক্ষত রেখেই যেন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার পায়ের গোড়ালিতে পচন ধরেছে। এজন্য ১৮ জন চিকিৎসক নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পায়ের গোড়ালির কিছু অংশ অস্ত্রোপচার করে কাটা হয়েছে। তবে পুরোটা এখনো কাটার সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তার দুটো কিডনিই ড্যামেজ, পেটে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। এখন বোর্ড পর্যবেক্ষণে রেখেছে। হাসপাতালে যেমন ভর্তি করেছিলাম তার অবস্থা তেমনি রয়ে গেছে, কোনো ইমপ্রুভ নেই। ডাক্তার বলেছে আরও সময় লাগবে। যে অংশটুকু নষ্ট হচ্ছে, প্রতিদিন সেখান থেকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে একটু একটু করে মাংস কেটে ফেলে দিচ্ছে।

‘পায়ের গোড়ালির উপর পর্যন্ত কাটা হয়ে গেছে, শুধু হাড়গুলো বাকি আছে। কারণ হাড়গুলো রাখলে পরে মাংস অন্য জায়গা থেকে নিয়ে যুক্ত করা যাবে। এজন্য ওনারা (চিকিৎসকরা) হাড়টা রেখে মাংস, চামড়া কেটে কেটে ফেলে দিচ্ছে।’

কানিজ ফাতেমা বলেন, আমি অনেক রিকোয়েস্ট করেছি যেন পা যেন না কাটা হয়। ওনারা (চিকিৎসকরা) প্রথমদিন বলেছিল পা কেটে ফেলতে। আমি বলেছি আরেকটু চেষ্টা করেন, কারণ পা কেটে ফেললে এটা নিয়ে আমরা অনেক অসহায় হয়ে যাব। এখন ডাক্তাররা তো চেষ্টা করছে দেখা যাক কী হয়।

অর্থনৈতিক সংকটের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের অনেক দিয়েছেন, এখন তো আর বলারমত কোন মুখ আমাদের নেই। তিনবার আমাদের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। এজন্য এবার আর কাউকে আমরা বলিনি। মানুষকে আর কতবার বলব, এভাবে বারবার বলতে গেলে লজ্জাও লাগে।

এখন কীভাবে কী করছেন জানতে চাইলে আকবরের স্ত্রী বলেন, কষ্ট হচ্ছে, প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কতদিন চিকিৎসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, গত দশ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন আকবর। আর ৫ বছর ধরে শরীরে বাসা বেঁধেছে জন্ডিস, রক্তের প্রদাহসহ নানা রোগ। এই গায়ক আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চলছে তার চিকিৎসা।

এর আগে গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে সেখানে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার তার ডান পায়ে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।