খাগড়াছড়িতে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ চলেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীরা চোরাগোপ্তাভাবে সড়কে ব্যারিকেড স্থাপন করেছে। তবে অবরোধকারীদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অবরোধের কারণে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি রওনা দেয়নি।
জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল স্থবির রয়েছে। গত দুদিনের অচলাবস্থার পর আজ সীমিত সংখ্যক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া প্রধান সড়কে অবরোধ শিথিল ঘোষণা করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
অন্য সড়কে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারায় সহিংসতা চলাকালীন গুলিতে ৩ জন পাহাড়ি নিহত এবং সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার মরদেহের ময়নাতদন্ত হতে পারে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে প্রায় ৩০ জন আহত জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের আহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট স্থান বা ঘটনা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
প্রশাসনের আহুত ১৪৪ ধারা এখনও বহাল রয়েছে। এই নির্দেশনা খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় জারি করা হয়েছে।
অবরোধের কারণে লংগদু, বাঘাইছড়ি সহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচামাল ও পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ চলছে। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে; সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মাঠে অবস্থান করছে।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে এবং সোমবার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের পেছনে মূল কারণ হলো ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার আহবান।