ক’রো’না রোগী শনাক্ত বেড়ে যাওয়ায় গোপালগঞ্জ সদর উপজে’লার সাতপাড়, বোলতলী ও সাহাপুর ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ মে) সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে। গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মক’র্তা ডা. মো. সাকিবুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে তেলিভিটা গ্রামের মোটর গ্যারেজ ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়া ক’রো’নার উপসর্গ ঠান্ডা ও জ্বর নিয়ে মা’রা গেলে ওই গ্রামের ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২৩ জনের ক’রো’না পজেটিভ আসে।
তিনি জানান, পরে আরও ৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে ২১ জনের ক’রো’না শনাক্ত হয়। এ নিয়ে ওই গ্রামে গত তিন দিনে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে। ফলে ক’রো’না সংক্রম’রোধে উপজে’লা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ তেলিভিটা গ্রামসহ সদর উপজে’লার সাতপাড়, বৌলতলী
ও সাহাপুর ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে। জে’লা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জে’লায় ৩ হাজার ৭৯০ জন আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মে মাসেই আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে ১৯৯ জন।
ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছে ৩৭ জন। মা’র্চ মাসে ক’রো’না আ’ক্রা’ন্তের হার ছিল ৪.৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসে তা লাফিয়ে ১৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজে’লার নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) মোহাম্ম’দ রাশেদুর রহমান জানান, লকডাউন চলাকালে ইউনিয়ন তিনটির হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
গণপরিবহন চলাচল সীমিত রাখা হবে। অ’তিপ্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য পরাম’র্শ দেওয়ার পাশাপশি সরকারি অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।