রংপুরে রেস্তোরাঁয় বিনামূল্যে মিলছে স্যানিটারি ন্যাপকিন

নারী ও শিশু রংপুর

রংপুরে রেস্তোরাঁর শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন বক্স স্থাপন করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলো স্বপ্ন ছুঁই। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে নগরীর ধাপ এলাকায় দ্যা কিচেন ও মুন্সিপাড়ায় কিচেন এক্সপ্রেস রেস্তোরাঁর শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন বক্স স্থাপন করে সংগঠনটি। এর পাশাপাশি ব্যবহৃত ন্যাপকিন নির্দিষ্টস্থানে ফেলার জন্য আলাদা ডাস্টবিনও স্থাপন করে তারা।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, চলো স্বপ্ন ছুঁইয়ের এ উদ্যোগের নাম প্রজেক্ট : অপরাজিতা। ঘরের বাইরে বের হওয়ার পর বা রেস্তোরাঁয় আসার পর হঠাৎ সমস্যা হলে শৌচাগারে রাখা ন্যাপকিন বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন নারীরা।

জিসান বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তাই চলো স্বপ্ন ছুঁই এর পক্ষ থেকে নারীদের কাছে বিনামূল্যে ন্যাপকিন পৌঁছে দিতে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আজ থেকে আমরা রংপুরের সকল রেস্তোরাঁয় মেয়েদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন বক্স স্থাপন করা শুরু করেছি। শুধু রংপুর নয়, বিভাগের আট জেলায় আমাদের এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এছাড়া এ কার্যক্রম স্কুল-কলেজগুলোতেও পরিচালনা করা হবে।

চলো স্বপ্ন ছুঁই এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম আলম তাসিন বলেন, মেয়েদের পিরিয়ডের মতো একটা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয় নিয়ে লজ্জা আর সংকোচের শেষ নেই সমাজে।

২০১৪ সালের আইসিডিডিআরবির ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভেতে বলা হয়েছে, পিরিয়ডের সময়কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কোনো ধারণাই নেই বেশির ভাগ নারীর।

এ সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের শতকরা ৮৬ ভাগ নারী এখনো পিরিয়ডের সময় পুরনো কাপড়, তুলা বা টিস্যু ব্যবহার করেন। চলো স্বপ্ন ছুঁই এর এ প্রজেক্টের মূল লক্ষ্যই সমাজ থেকে কুসংস্কার নির্মূল করা। নারীদের স্বাস্থ্যের বাস্তবিকতা সম্পর্কে সচেতন করা।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনা মহামারিতে লকডাউনে মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ডেলিভারি দেয় সংগঠনটি। এর পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে গিয়ে তারা নারীদের ন্যাপকিনের ব্যবহার ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনও করে।