টাঙ্গাইলে প্রেমিকের প্রতারণায় প্রেমিকার আত্মহত্যা !

Uncategorized

টাঙ্গাইলে প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে। রোববার (২০ জুন) রাতে উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের খাগজানা গ্রামে নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারক প্রেমিক একই এলাকার খসরু মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৫)। তিনি বন্ধু চুলা কোম্পানিতে কর্মরত।

জানাগেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাগজানা গ্রামের মনছুর আলীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে শারমীন আক্তারের(২০) সাথে একই এলাকার খসরু মিয়ার ছোট ছেলে সাইদুলের সাথে গত দশ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সেই সম্পর্ক এক পর্যায়ে শারিরীক সম্পর্কে রূপ নেয়। নারী লিপ্সু প্রতারক সাইদুলকে বিবাহের জন্য চাপদিলে নানা তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ ২০জুন বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সাইদুল তার পরিবারের সাথে যোগসাজস করে বিবাহ করতে পারবেনা বলে জানায়। সর্বশ্ব হারিয়ে প্রেমিকা শারমিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে শারমীনের মা পারভীন বেগম জানান, আমার মেয়ের সাথে সাইদুলের দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চললে তারা দু’জনে স্বামী-স্ত্রীর মতোই চলাফেরা করতো। অন্যত্র বিয়ে দেয়ার পর সে ফুসলিয়ে গোপনে পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে আমার মেয়েকে কোর্ট ম্যারিজের মাধ্যমে বিয়ে করে।

ছেলের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানি। মেয়ে অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় আমার স্ত্রী ওই মেয়ে ছেলের বউ করে আনতে অনীহা প্রকাশ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, ছেলে-মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক বিষয়টি এলাকার সবাই জানে। ছেলে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জানি। আত্মহত্যার বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।