কারিগরি শিক্ষা ও মাদরাসার অনুদান বিতরণ করবে ‘নগদ

শিক্ষা

করোনা মহামারি মোকাবিলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তার অর্থ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-

এর মাধ্যমে বিতরণ করবে সরকার। আট হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সরকারি সহায়তা হিসেবে পাঁচ কোটি টাকা বিতরণ করবে ‘নগদ’। গত সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে ‘নগদ’-এর সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান এবং ডাক বিভাগের মোবাইল

ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সিনিয়র সহাকরী সচিব সাবিনা ইয়াসমিন এবং ‘নগদ’-এর হেড অব গভর্নমেন্ট সেলস মান্নাফ পরাগ উপস্থিত ছিলেন। চলমান করোনার এই সময়ে সহায়তা হিসেবে

নির্বাচিত ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭৫ লাখ টাকা দেবে সরকার। এ ছাড়া ৫০০ জন শিক্ষা-কর্মচারী মোট ৫০ লাখ টাকা এবং ৭ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থীকে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি এই সহায়তা ক্যাশ-আউটের জন্য যে খরচ হবে সেটি সুবিধাভোগীকে পাঠানো অঙ্কের সঙ্গে যোগ করে পাঠানো হবে।

চুক্তির বিষয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারি ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের ‘নগদ’ চমৎকার একটি অবস্থান তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা

একের পর এক সরকারি ভাতা বিতরণের উদাহরণ তৈরি করেছে আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনকে তরান্বিত করেছে। তাছাড়া সারা দেশে তাদের সেবার যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। একে তো সরকারি সেবা তার ওপর সেবার গুণগত মান

ভালো হওয়ার কারণে আমরা ‘নগদ’-কে বেছে নিয়েছি। সরকারের পাশে থাকতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে ‘নগদ’- এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, আপদকালীন সময়ে করোনা সহায়তার অংশ হিসেবে সরকার শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে আমরা সেখানে অংশ নিতে পেরে গর্বিত। ‘নগদ’ মানুষের সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

‘নগদ’ তার যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এর আগে গত বছর কোভিডের কারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন

‘নগদ’-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ১৭ লাখ পরিবারকে ঈদ উপহার পৌঁছে দেওয়ার। এবারও সাড়ে ৩৩ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ‘নগদ’ ১৫ লাখ পরিবারের কাছে উপহার বিতরণ করেছে। তাছাড়া

প্রাথমিক পর্যায়ের এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ করে এরই মধ্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণের অনন্য এক রেকর্ড করেছে ‘নগদ’। এর বাইরে চলমান কোভিডের সময়ে সরকারি

নানান ভাতা, উপবৃত্তি, আর্থিক সহায়তা বিতরণে ডিজিটালাইজেশনের প্রচলন করে ভাতাভোগীর হাতে সহজেই সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি অর্থের সাশ্রয় করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নগদ’।