শ্রদ্ধার খাদ্য রুটিন

আন্তর্জাতিক বিনোদন স্বাস্থ

ছবিতে যেমনটা দেখছেন! খাবার নিয়ে ছবি তুলতে, পোজ দিতে যতটা ভালোবাসেন শ্রদ্ধা, খেতে ততটা নয়! তারকাদের পোশাক, স্টাইল, জামাকাপড়, ব্যায়াম, খাওয়াদাওয়া—সবকিছুই ফলো করেন ভক্তরা। ফলো করতে না পারলেও নিদেনপক্ষে জানতে চান। ভক্তদের চাহিদার জন্য পিঙ্কভিল ইউটিউবে একটি জনপ্রিয় আয়োজন শুরু করে, যার শিরোনাম ‘হোয়াট আই ইট ইন আ ডে’।এখানে বিভিন্ন তারকা এসে শেয়ার করেন তাঁদের সারা দিনের খাদ্য রুটিন। এখানেই শ্রদ্ধা কাপুর জানিয়েছেন তাঁর ডায়েট প্ল্যান।
কয়েক মাস ধরে শ্রদ্ধা ‘ভিগান ডায়েট’ শুরু করেছেন। প্রাণীজ কোনো কিছুই খাচ্ছেন না তিনি। তবে কত দিন চলবে এই অনুশীলন এ সম্পর্কে শ্রদ্ধা বলেন, ‘শুরু তো করলাম, এখন দেখা যাক। সময় জবাব দেবে। তবে দুই মাস ভিগান খাবার খেয়ে আমার ভালোই লাগছে।’ জেনে নেওয়া যাক, শ্রদ্ধা কাপুরের এই নতুন খাদ্যরীতি।

 

 

 

সারা দিনের খাওয়াদাওয়ার ভেতরে ব্রেকফাস্ট শ্রদ্ধার সবচেয়ে প্রিয়। শ্রদ্ধা এই সময়ের নায়িকা হলেও ‘আরলি টু বেড আরলি টু রাইজ, মেকস আ ম্যান হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’—এই সূত্র মেনে চলেন। রাত ১১টায় ঘুমিয়ে পড়েন। ওঠেন ভোর ছয়টায়। আটটার ভেতর তিনি বিভিন্ন ধাপে সেরে ফেলেন সকালের নাস্তা।

 

 

ভিগান হওয়ার আগে শ্রদ্ধার সকালের নাস্তায় ডিম পোচ, সেদ্ধ বা মামলেট— কিছু একটা থাকতই। আগে তিনি সবজি, ডিম আর পোড়ানো মাছ দিয়ে সারতেন সকালের নাস্তা। তবে এখন খান সবজি খিচুড়ি, পোহা, ওকমা, দোসা, সুজির ভেজ উপমা বা সাম্বার—এগুলোর ভেতর যেকোনো একটা। শ্রদ্ধার জন্য রান্না করেন সুনীতা। তিনি পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শ্রদ্ধার স্বাদ আর রুচির সঙ্গে মিলিয়ে মজাদার সব খাবার রান্না করেন। মূল ব্রেকফাস্ট শেষে ফলের জুস খান শ্রদ্ধা।

 

 

 

শ্রদ্ধা দুপুরে খান চাপাটি, রুটি বা ছোট্ট এক বাটি লাল চালের ভাত। এসবের সঙ্গে থাকে রান্না করা সবুজ সবজি ও ডাল। আগে শ্রদ্ধার দুপুরের পাতে মাছ থাকতই। ইদানীং সেসব ছেড়েছেন। রাতের খাবার খান সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার ভেতরে। রাতেও দুপুরের মতোই খান। তবে আবার খিদে পেলে হালকা কোনো নাস্তা, যেমন পাকোড়া, স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্যুপ খান।

 

 

শ্রদ্ধার সব খাবার রান্না হয় ইতালি বা স্পেন থেকে আনা জলপাইয়ের তেলে। তেলটা সামান্য সময় চুলার ওপর থাকে। কোনভাবেই ডিপ ফ্রাই নয়। কেননা, খাবারটা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা অনেকটা নির্ভর করে কী তেলে কীভাবে রান্না হচ্ছে, তার ওপর। যতটা সম্ভব কম তেল খান শ্রদ্ধা। চা, কফির প্রতি কোনো আসক্তি নেই তাঁর। ‘চিট ডে’ নেই বললেই চলে। অনেক দিন পর হয়তো চিপস খান বা ডিপ ফ্রাইড কিছু একটা খান।

 

 

যখন শ্রদ্ধা ‘এনার্জিটিক’ ফিল করেন, তখন ওয়াকআউট করেন। সাধারণত সেটা সন্ধ্যা ছয়টায়। সকালেও এক দফা যোগব্যায়াম দিয়ে দিন শুরু করেন শ্রদ্ধা।