বৃষ্টিতে ভিজে ভ্যানে বাড়ি নেয়া হচ্ছিল নবজাতককে, পৌঁছে দিলেন ডিসি

জাতীয় দেশ জুড়ে বাংলাদেশ বিশেষ প্রতিবেদন

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। রিকশা, জরুরি ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যানবাহন বন্ধ। অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যাচ্ছিল না। সঙ্গে দিনভর বৃষ্টিও। উপায়ান্তর না পেয়ে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুসহ তার মাকে ভ্যানযোগে ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়ি মাগুরায় নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা। খবর পেয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার শিশুসহ তার পরিবারকে গাড়ি ব্যবস্থা করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেন।

 

 

রোববার (৪ জুলাই) সকালে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। দুপুরের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান শিশুটিসহ তার মা। পরে বৃষ্টিতে ভিজে শিশুটিসহ মাকে নিয়ে নিজে ভ্যান চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন নানা সৈয়দ ফায়েক আলী।

 

 

বিষয়টি জানতে পারেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুইক রেসপন্স টিমের গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। অক্সিজেনসহ গাড়িতে করে নবজাতকসহ পরিবারটিকে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার বালিদিয়ায় নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ সময় পরিবারের অনুমতিতে গাড়ির ভেতরেই নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয় ‘মোহাইমিনুল ইসলাম শুভ’।

 

 

শুভর নানা সৈয়দ ফায়েক আলী বলেন, ‘পরিবারের নতুন সদস্য নাতি বাড়ি নিতে হবে। কিন্তু যানবাহন সবইতো বন্ধ। কি আর করার। তাই নিজে ভ্যান চালিয়ে রওনা করেছিলাম। কীভাবে যেন ডিসি জানতে পেরে গাড়িতে করে সবাইকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। সঙ্গে আবার পুলিশও দেন। মনে হচ্ছে আমার নাতিটি ভাগ্যবান।

 

শুভ লক্ষণ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে, এজন্য তার নাম রাখা হয়েছে শুভ।’এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পথে যাতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য পুলিশের সহায়তা নেয়া হয়েছে।’