মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ শুধুই বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ধন্যবাদ ভাই’

খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ড্রেসিংরুমে কথায় কথায় সতীর্থদের নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। টিভি সংবাদে সেটি ব্রেকিং নিউজ হিসেবেও উঠে আসে।

 

 

টেস্টের শেষদিনের সকালে সতীর্থরাই তাকে দিয়েছে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছে। অথচ অবাক করার বিষয় হলো মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো কিছুই জানে না।

 

পরিচালকরা বলছেন, তারা কিছুই জানেন না। মাহমুদউল্লাহ নিজেও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডকে জানাননি। কবে জানাবেন তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।

 

তার নীরবে অবসর নেওয়ার ঘটনা নানান প্রশ্ন জন্মের দিয়েছে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ আপাতত গণমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন। বিশেষ করে অবসর প্রসঙ্গে মুখে কলুপ এঁটেছেন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যোগাযোগ করেছিল রাইজিংবিডিও।

 

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের শুভকামনা জানিয়ে মাহমুদউল্লাহকে তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। জবাবে ছোট্ট করে মাহমুদউল্লাহ লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ ভাই।’

 

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে বলা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। বাদ দেওয়া হয়েছিল লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। ১৬ মাস পরে টেস্ট দলে আকস্মিকভাবে সুযোগ পান তিনি।

 

জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য টেস্ট দলে তিনি ছিলেন না। কিন্তু সফরে যাওয়ার আগে দলের শীর্ষ দুই ব্যাটসম্যান ইনজুরিতে থাকায় তাদের সম্ভাব্য ব্যাকআপ হিসেবে তাকে নেওয়া হয়। ব্যাকআপ হিসেবে দলে ফিরে একাদশে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেন।

 

প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করে ১৫০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন। এই সেঞ্চুরির পরই সতীর্থদের কাছে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানান।

 

 

 

টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা এই ইনিংসে মিলেছে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। দলও জিতেছে। নিজের ব্যক্তিগত অর্জনও হয়েছে। এর চাইতে বেশি কিছু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর কী প্রত্যাশা করতে পারেন?

 

সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ বেশ তৃপ্ত। তবে দল জেতায় এবং সবার মুখে হাসি থাকায় মাহমুদউল্লাহ আনন্দ পাচ্ছেন বেশি। সেদিন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, ‘সব সময় একজন টিমম্যান হয়ে দলে জন্য অবদান রাখতে পছন্দ করি। আমরা ম্যাচটা জিতেছি এবং দলের প্রত্যেকের মুখে হাসি দেখে ভালো লাগছে।’

 

সেদিন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাকে অবসর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়নি। নিজ থেকেও কিছু বলেননি মাহমুদউল্লাহ। এমনকি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট দলের অধিনায়ক মমিনুল হকও একসময় মাহমুদউল্লাহর অবসর প্রসঙ্গে জানান, ‘নো কমেন্টস’। তবে অনেক সময় ‘নো কমেন্টসই কিন্তু ‘অল কমেন্টস’!