শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ছাত্রফ্রন্টের সমাবেশ

শিক্ষা

বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও করোনাকালে সব ধরনের বেতন-ফি মওকুফ করার দাবিতে সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী।সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে খোলার কোনো উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। কারখানা, শপিংমল, দোকানপাট সবকিছু খোলা।

 

বন্ধ শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত। প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এরই মধ্যে ঝড়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। তারা আর্থিক-মানসিক-পারিবারিক-সামাজিক সঙ্কটে দিনাতিপাত করছে।’

 

‘কিন্তু আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, সরকার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্কট নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। বরং সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। তারা জানে, শিক্ষা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে প্রতিবাদ। তাই যতটুকু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা যায়, ততটুকুই সরকারের লাভ।’

 

 

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় দরকার ভ্যাকসিন কিন্তু সরকার তা নিশ্চিত করতে পারছে না। আমরা বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছি। সরকার বলেছে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই খোলা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো উদ্যোগ উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আমাদের দাবি- ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো ভয়ানক আর্থিক সঙ্কটে আছে। অনেকে আয়মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি মওকুফ করা হয়নি। এটা নিঃসন্দেহে অন্যায্য ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত।’

 

সমাবেশ থেকে সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রশাসনের উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বেতন-ফি মওকুফ করার দুই দফা দাবি জানানো হয়।