টাঙ্গুয়ার হাওরে ছুটছেন পর্যটকরা

টাঙ্গুয়ার হাওরে ছুটছেন পর্যটকরা

বাংলাদেশ বিশেষ প্রতিবেদন

দীর্ঘ দুই মাস আটদিন পর খুলে দেওয়া হলো সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সব পর্যটনকেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে উম্মুক্ত করে দেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি, টেকেরঘাট, বারেকটিলাসহ পর্যটন এলাকায় সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটছেন পর্যটকরা।

 

সারাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন সুনামগঞ্জের সব পর্যটন এলাকায় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যেতে পারেননি পর্যটকরা। অনেকে লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের গুনতে হয়েছে জরিমানা।

সারাদেশে পর্যটনকেন্দ্রের ওপর ১৯ আগস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার খবরে অনেক পর্যটক মঙ্গল ও বুধবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হোটেলে উঠেছেন।

 

 

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক ফরিদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিবার নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জে এসেছি। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে যেতে পারিনি। দুদিন সুনামগঞ্জের একটি হোটেলে থেকেছি। আজ টাঙ্গুয়ার হাওরে যাচ্ছি।’

সিলেট থেকে আসা মোহাম্মদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে বন্ধুুদের নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছিলাম। এখন তাহিরপুর আসছি। সবাই নৌকা নিয়ে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাব।’

 

কুমিল্লা থেকে আসা রিদু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক বছর ধরে টাঙ্গুয়ার হাওর দেখব বলে আশায় আছি। কিন্তু বিধিনিষেধের জন্য আসা হয়নি। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আজ হাওরে ঘুরতে এলাম।’ সুনামগঞ্জ থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে আসা পর্যটক আকরাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ নিয়ে পাঁচবার সপরিবারে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসছি। আমরা হাওরের সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে গেছি। তাই সুযোগ পেলেই পরিবারের সবাই মিলে হাওরে ঘুরতে আসি।’

 

 

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ থেকে সুনামগঞ্জের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।’

 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। আমরা কঠোর নজরদারি রাখব, যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।’