মূল পর্বে দুইয়ের বেশি ম্যাচ জিতলেই বড় অর্জন: আশরাফুল

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অতীত পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল টাইগাররা, উঠেছিল সুপার এইটে। কিন্তু এরপর ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ সালের আসরে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ।

২০১৪ ও ২০১৬ সালের আসরে প্রথম পর্বে দুটি করে জয় পেলেও, সুপার টেনে হেরেছে সব ম্যাচ। অবশ্য ২০১৬ সালের আসরে সুপার টেনে জয়ের বেশ ভালো সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের সামনে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে শেষ তিন বলে দুই রানের সমীকরণে হেরেছিল এক রানে। নিউজিল্যান্ডকে ১৪৫ রানে আটকে রেখেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় মেলেনি জয়।

 

 

এবারের আসরে ইতিহাস বদলানোর আশাবাদী বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০৭ সালের আসরে তার ২৭ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদেই ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পরের চারটি জয়ই বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে। সুপার টেন বা মূল পর্বে উঠে কোনো ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ আশরাফুল আশা করছেন, এবারের বিশ্বকাপের মূল পর্বে অন্তত আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে (যদি তারা সুপার টেনে যায়) দুটি জয় পাবে টাইগাররা। এর চেয়ে বেশি জয় পেলে অর্থাৎ আর কোনো দলকে হারাতে পারলে সেটি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হবে মনে করেন আশরাফুল।

 

 

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘২০০৭ সালের পর আমরা মূল রাউন্ডে আর কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। এখন শুধু আশা করতে পারি যে এবার পরিস্থিতি বদলাবে। আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের (যদি তারা বাছাই পর্ব পেরিয়ে যায়) বিপক্ষে আমি দুটি জয়ের প্রত্যাশা করছি। এর বেশি জিতলে বড় অর্জন হবে।’

 

বিশ্বকাপের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে পরপর সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে জিম্বাবুয়ে থেকেও সিরিজ জিতেই ফিরেছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

 

 

তবে এ দুই সিরিজে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ঝলক তেমন দেখা যায়নি। এ বিষয়ে আশরাফুল বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড দুর্বল দল পাঠিয়েছিলো। তাদের মূল ব্যাটসম্যানরা ছিলো না। তবুও আমরা তাদের কাছে ম্যাচ হেরেছি। আমরা জয় পেয়েছি কিন্তু কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পায়নি বা কোনো বোলার ৫ উইকেট পায়নি।’

 

আশরাফুল আরও যোগ করেন, ‘জয় আপনাকে সবসময় আত্মবিশ্বাস দেয়। কিন্তু আমি কোনো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখিনি। বোলাররা ভালো করেছে কিন্তু আমি মনে করি না যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমরা এই ধরনের উইকেট পাবো।’