নিজের মান-সম্মান বাঁচাতে অমিতাভ সম্পর্ক অস্বীকার করছেন: রেখা

বিনোদন

সত্তরের দশকে অমিতাভ বচ্চন -রেখা এই নাম দুইটি বলিউডের উজ্জ্বলিত ছিলো। তবে এই ২ জনের প্রেমের সম্পর্কও অতীত থেকে বর্তমান যুগের একটি চর্চিত বিষয়। সিনেমার জগত থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনের সমস্ত কথা এই জুটিকে কেন্দ্র করে সকলের সামনে উঠে এসেছে।

সত্তরের দশকে অমিতাভ-রেখার জুটি ছিল সবথেকে বেশি রোমান্টিক জুটি। রেখার অসাধারণ সৌন্দর্য গ্ল্যামার সমস্ত কিছুই যেন প্রতিটা পুরুষের মনকে জয় করে নিয়েছিল। সিনেমার পর্দায় যেমন তিনি রোমান্টিক বাস্তবেও কিন্তু তিনি খুবই রোমান্টিক প্রকৃতির মানুষ।

একসময় খুব হইহুল্লোর শুরু হয়েছিল অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার প্রেমের সম্পর্ককে নিয়ে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনোদিনই অমিতাভ বচ্চন কোন কথা স্বীকার করেননি।

এভারগ্রীন রেখা সর্বদায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নিজের মত নিজে বাঁচতে পছন্দ করেন। তাই কারোর কোন কথায় তিনি কোনো রকম পাত্তা না দিয়ে নিজের মত জীবন কাটিয়েছেন।

বর্তমান যুগের নায়িকাদের মধ্যে যথেষ্ট উঁচু জায়গাতেই রয়েছেন। সত্তরদশক থেকে নব্বই দশকের সমস্ত নায়কদের সঙ্গেই তিনি অভিনয় করেছেন এবং তিনি সবার সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে ছিলেন।

অভিনেত্রী রেখা অনেক নায়কদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলেও সর্বপ্রথম যার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বেশি চর্চিত বিষয় সেটা হলো অমিতাভ। অভিনয় জগতে পা দেওয়ার পরপরই ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অভিনয় জগতের মানুষ সবার সঙ্গেই সম্পর্কে জড়ানোর নাম উঠে এসেছে। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা সেটা সবথেকে পরে এসেছে।

১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবিটির শুটিং করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং রেখা। তারপর থেকে এই জুটির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, যদিও এই বিষয়ে কোন রকম কথাই বলেননি অমিতাভ।

সেই মুহূর্তে অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলে একেবারে অস্বীকার করে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ বচ্চন সম্পর্ককে অস্বীকার করার পর রেখা জানিয়েছিলেন, নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য অমিতাভ এটি অস্বীকার করছেন।

অমিতাভ বচ্চনের প্রতি তার ভালোবাসা, অনুভূতি রয়েছে সেটা কেউ জানলে তাতে তার কিছু এসে যায় না। আমি ওনাকে ভালোবাসি এবং উনি আমাকে। এটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট আর বাদবাকি কারোর কি মতামত বা ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে আমার কোন গুরুত্ব নেই।

১৯৯০ সালে রেখার বিয়ে হয় দিল্লির শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালের সঙ্গে। কিন্তু মুকেশ আগারওয়াল বিয়ের এক বছরের মধ্যেই আত্মহত্যা
করেন।