আমরা কেন নিজের ধর্মের বার্তা শুনতে পাচ্ছি না? প্রশ্ন বাপ্পীর

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক: ধর্মীয় ইস্যুতে দেশের সাম্প্রতিক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সচেতন মানুষদের পাশাপাশি বিনোদন জগতের অনেকেও সরব হয়েছেন। ধর্মীয় বিদ্বেষ দেখে কষ্ট পাচ্ছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরীও। তিনি চান, বাংলাদেশের মানুষগুলো একে-অপরকে ভালোবেসে শান্তিতে থাকবে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।

বাপ্পী লিখেছেন, ‘ধর্মীয় কোনো ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে নাক গলানো আমার কখনো ভালো লাগে না। তবে অশান্ত এই মনটাকে শান্ত করতে কিছু কথা না বলে পারছি না। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। জন্মসূত্রে পাওয়া নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস যেমন ব্যক্তিগত ব্যাপার, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্মও ঠিক তেমনি তার তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে বাপ্পীর বক্তব্য, ‘বর্তমান সময়ে চলমান বেশ কয়েকটি ইস্যু বারবার আমার মনকে অশান্ত করে তুলছে। টিপকাণ্ড, বিজ্ঞান স্যারের কারাবাস, এ সবের শেষ কোথায়? কিংবা শুরুটাই বা কিভাবে? অন্যের ধর্মের প্রতি এতোটা ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে এরা বসবাস করছে কী করে? এমনও তো নয় যে এসব কোনো পড়ালেখা না জানা, শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকা কোনো কুসংস্কারাছন্ন অন্ধকার জগতের মানুষেরা করছে। আধুনিক এই যুগে, যখন সবাই নিজ কাজ করে সময় পায় না, তখন তারা অন্যের ধর্ম নিয়ে ভাবার সময়ই বা পায় কখন?’

প্রতিটি ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে, এমনটা জানিয়ে বাপ্পী লেখেন, ‘ইসলাম মানেই শান্তি, সনাতন ধর্ম কখনো ঘৃণা শেখায়নি, বৌদ্ধ ধর্মেতো জীব হত্যাই মহাপাপ, আর যিশু নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন শান্তি বাস্তবায়নে। তাহলে আমরা কেন শান্ত থাকতে পারছি না? আমরা কেন নিজের ধর্মের বার্তা শুনতে পাচ্ছি না? আমরা কেনো এতো আক্রোশ নিয়ে বসে আছি?’

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাপ্পী চৌধুরী লেখেন, ‘সন্তানকে নিজেদের ধর্ম শেখানোর পাশাপাশি, অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে শেখান। ছোটবেলা থেকেই যদি ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেন, তবে ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর। বাংলাদেশকে ধর্মের মাপকাঠিতে ভিন্ন হতে দেখতে চাই না। বাংলাদেশতো ভালোবাসার দেশ। মানুষগুলোর মন হোক ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।’