৯ বছর ধরে পলিথিনে বন্দি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন

বাংলাদেশ স্বাস্থ

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন রোগীরা। ৯ বছর ধরে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় থেকে বিকল হয়ে গেছে। বিকল মেশিনটি এখন আর মেরামতেরও সুযোগ নেই। ফলে কর্তৃপক্ষ নতুন আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন পাওয়ার জন্য বরাদ্দ চেয়েছে।

সরেজমিনে সদর হাসপাতালের এক্স-রে রুমে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের পাশে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে একটি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন। মেশিনটি ২০১০ সালে হাসপাতালে আনা হয়। এর পর দুই বছর এটি পরিচালনা করা হলেও ২০১২ সালের পর থেকে আর খোলা হয়নি। তখন থেকেই মেশিনটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এক্স-রে রুমে পড়ে আছে।

সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) মতিউল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি এই হাসপাতালে আসার পর ডা. বিদ্যুৎ ও ডা. অঞ্জন দুই বছর পরিচালনা করেন। এরপর আর এটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। মূলত সনোলজিস্ট দরকার। সনোলজিস্ট ছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি পরিচালনা করা যায় না। গর্ভবতী মাসহ পেটের সমস্যা নির্ণয়ে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনে পরীক্ষার পর রিপোর্ট নিয়ে ফের চিকিৎসকের কাছে আসতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে রোগীদের ব্যয় বেড়ে যায়।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল হান্নান জানান, সদর হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি পড়ে থাকতে থাকতে বিকল হয়ে গেছে।