গলির ক্রিকেট থেকে উঠে আসা আইপিএলের গতিদানব সামান্য এক ফল বিক্রেতার ছেলে

খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক : নিজের দক্ষতা আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কীনা করা যায়। এমনি এক নজির দেখালেন কাশ্মীরের সামান্য এক ফল বিক্রেতার ছেলে। এবারের আইপিএলে রীতিমতো ঝড় তুলছেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নামটি। আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার উমরান মালিকের কথা। খেলার শুরু পাড়ার গলির মোড়ে। টেনিস বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ভয় দেখিয়ে উইকেট তোলাই ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। গলির ক্রিকেট থেকে উমরান মালিক এখন আইপিএলের মঞ্চে। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন বড় বড় সব তারকা ব্যাটসম্যানকে।

ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে আইপিএল অনেকটা রূপকথার মতো। ১৩০ কোটির দেশে ১১ জনে নাম লেখানোর লড়াইটা খুব সহজ হয় না। ব্যাটে-বলে তুমুল লড়াই যেমন থাকে, আছে প্রতিবন্ধকতা জয় করে উঠে আসার লড়াইও। এমন সংগ্রাম করেই কাশ্মীর থেকে আইপিএলের মঞ্চে নিজের জাত চেনাচ্ছেন উমরান মালিক।

উমরান মালিক আইপিএলে এসেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নেট বোলার হিসেবে। তারপরের গল্পটা স্বপ্নের মতো। গেল আসরে করোনার জন্য দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন টি নটরাজন। তারপরই নেট বোলার থেকে হায়দরাবাদের একাদশে ঠাঁই হয় উমরান মালিকের। পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে নেমেই চমকে দেন। বলে বলে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় তোলন। গতিতে ভয় দেখিয়ে কাবু করছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের।

ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে জিতে নিচ্ছেন ম্যাচের দ্রুততম বলের পুরস্কারও। যদিও উমরান মালিকের পরিসংখ্যানে হয়তো তার আগুনে বোলিংয়ের উত্তাপটা ধরা পড়ছে না, কিন্তু সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ভরসা রাখছে এ তরুণ ফাস্ট বোলারের ওপর। অনেকে যদিও বলাবলি করছেন, গতিতে কাজ হচ্ছে না।

যদিও ভারতের সাবেক তারকা পেসার ইরফান পাঠানকে আশা দেখাচ্ছে কাশ্মীরের এ গতিদানব। কদিন আগে ইরফান পাঠান বলেছিলেন, গতি কমানোর প্রশ্নই আসে না। অনেক কিছু শেখাতে গিয়ে যেন তার মূল শক্তিটাকে নষ্ট করা না হয়।

এদিকে হায়দরাবাদের বোলিং কোচ ডেইল স্টেইনও বলছেন, উমরানকে আমার পরামর্শ, কখনোই বলের গতি কমিও না। ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতিতে তো যে কেউ বল করতে পারে। এখানেই শেষ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার এও বলে দিয়েছেন, উমরান আমার কাছেও প্রেরণা।

পাশাপাশি উমরানকে অবশ্য আরও একটা কথা বলতে চান স্টেইন। এ গতির সঙ্গে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে পারলে অনেক দূর যাবে উমরান। হায়দরাবাদের দুই তরুণকে নিয়ে বিশেষ উচ্ছ্বসিত স্টেইন। তিনি মনে করেন, তাদের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। এদের একজন উমরান, অন্যজন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি পেস অলরাউন্ডার মার্কো জানসেন। স্টেইনের কথায়, ভবিষ্যতে উমরান মালিকের খেলা সবাই বেশি করে দেখতে পারবেন। সে রকমই অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে দেখা যাবে মার্কো জানসেনকে।