যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত থাকতে চায় র‌্যাব

বাংলাদেশ

সন্ত্রাস, উগ্রবাদ, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অর্পিত দায়িত্ব পালনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গতকাল রবিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক এ সহযোগিতা চান। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

মুক্ত আলোচনায় র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘র‌্যাব যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সহযোগিতা পেয়েছে, বিশেষ করে আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে হেলিকপ্টার সংগ্রহ করেছি। সেই হেলিকপ্টারগুলো র‌্যাবের অভিযান ও মানবিক সহায়তা কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ’

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণের ফলে আমরা সফলভাবে সন্ত্রাস, ধর্মীয় উগ্রবাদ, মানবপাচার মোকাবেলা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছি। আমরা মূলত সন্ত্রাস ও মাদক মোকাবেলায় কাজ করি। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রেরও অগ্রাধিকার। ’

মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মানবাধিকার সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতে এই এলিট ফোর্সের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চাই। নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজের জন্য এটি প্রয়োজন। ’

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে এবং সম্পৃক্ত থাকতে চাই। আমাদের এই সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। তারা আগে আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও সম্পৃক্ত হতে চাই। ’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, র‌্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মধ্যেও সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি তদন্ত প্রশিক্ষণ সহযোগিতা কর্মসূচির (ইসিট্যাপ) আওতায় র‌্যাব সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি জানান, র‌্যাব সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের উদ্যোগে মার্কিন ইসিট্যাপ কর্মকর্তারা তদন্ত ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, ‘আমি সত্ভাবে বলতে চাই, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহি ছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি র‌্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে। ’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের এরই মধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব। ’

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন পুলিশ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিট এবং চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

সন্ত্রাস, উগ্রবাদ, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অর্পিত দায়িত্ব পালনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গতকাল রবিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক এ সহযোগিতা চান। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।