সানি লিওনের সঙ্গে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের বিশেষ সম্পর্ক ছিল

খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ৪৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে কিংবদন্তী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। টাউন্সভিলে শনিবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ গাড়িটি অ্যালিস রিভার ব্রিজ থেকে বাঁদিকে যাওয়ার সময় উল্টে যায়।

এটা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিমের কাছে ফের আকস্মিক শোক এনে দিয়েছে। এই বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ করে মৃত্যু হয় শেন ওয়ার্ন ও রড মার্সের। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের হঠাৎ করে মৃত্যুর খবর শোনার পর টুইটার ভরে যায় শোকবার্তায়। কারণ তিনি শুধু একজন ক্রিকেটার হিসাবে নন, সকলের মন জিতেছিলেন একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে।

অনেকেই শুধু তার ক্রিকেটের ময়দানে খেলা বা একাধিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের কথাই নয়, বরং সালমান খান সঞ্চালিত বিগ বস ৫-এও তিনি যে এসেছিলেন, তাও সকলের মনে আছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে বিগ বস রিয়্যালিটি শোয়ের পঞ্চম সিজনে এসেছিলেন অ্যান্ড্রু, যা ২০১১ সালে সম্প্রচার হয়।

বিশেষ অতিথি হিসাবে দু’‌সপ্তাহের জন্য তিনি এই রিয়্যালিটি শো-তে অংশ নিয়েছিলেন সেই সময়। সিজন ৫-এ অংশগ্রহণকারী হিসাবে ছিলেন জুহি পারমার, মহেক চাহাল, পুজা মিশ্রা, সোনালি নাগরানি, শ্রদ্ধা শর্মা, পুজা বেদি, শক্তি কাপুর সহ অন্যান্যরা। তবে সানি লিওনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের।

এই সিজন আরও জমে উঠেছিল অভিনেত্রী সানি লিওনের কারণে, পরে যিনি পুজা ভাট পরিচালিত ‘‌জিসম ২’‌-এর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। বিগ বস ৫ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাতকারে সাইমন্ডস জানিয়েছিলেন যে বিবি হাউসে থাকাকালীন তার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।

তিনি রুটি ও ভারতীয় খাবার তৈরি করতে শিখেছিলেন। শুধু তাই নয়, আইপিএল বিজয়ীকে দেখা গিয়েছিল বিগ বসের বাড়িতে নতুন বন্ধু তৈরি করতে এবং ভারতীয়দের সঙ্গে তাকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই শোতে বাড়ির ভেতরে দেখা গিয়েছিল অ্যান্ড্রু ও সানির বন্ধুত্ব।

এই শোতে ঢোকার আগে অ্যান্ড্রু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‌প্রতিযোগী হিসেবে তার পছন্দে আমি ক্ষুব্ধ নই। আমি তাকে চিনতে চাই এবং আশা রাখব সানি খুব মজাদার মানুষ হবেন। আমরা একসঙ্গে থেকে মুহূর্তগুলো উপভোগ করব।’

বিগ বসের বাড়িতে সবচেয়ে বেশি হতাশ তাকে কোনটা করত?‌ এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় বলেছিলেন, ‘খেলাধূলোর জন্য ক্যামেরার সামনে আসার পর থেকে আমি দীর্ঘসময় ধরে ক্যামেরার সামনে থাকতে পারি না। কিন্তু আপনাকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি বড় দেওয়াল দিয়ে ঘিরে ঘর থেকে বের হতে না পারা খুবই হতাশাজনক।’‌ ‌‌