পল্লবী মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড়, কল সেন্টারে অভিযান

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক: কলকাতার গরফা থানার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গত রবিবার উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পল্লবী দের মরদেহ। ওই ফ্ল্যাটে লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকতেন পল্লবী।

অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুন, প্রতারণা-সহ আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে। পল্লবী রহস্যমৃত্যুর মামলায় আপতত পুলিশ হেফাজতে সাগ্নিক চক্রবর্তী। সাগ্নিকের কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পল্লবী মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় নিয়েছে এই অভিযান।

পল্লবীর পরিবার দাবি করেছে পল্লবীর টাকায় ফ্ল্যাট ও অডি গাড়ি কিনেছিল সাগ্নিক, যদিও সাগ্নিক এবং প্রয়াত অভিনেত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেও এমন কোনও সন্দেহজনক লেনদেনের হদিস পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাজারহাটের ফ্ল্যাট কেনবার অধিকাংশ টাকাই সাগ্নিকের বাবা দিয়েছিলেন।

অডি গাড়ির জন্যও সাগ্নিকের মা ৯ লক্ষ টাকা দেন। তা সত্ত্বেও কীসের ভিত্তিতে পল্লবীর পরিবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনল তা বিস্তারিত জানতে খুব শীঘ্রই পল্লবীর বাবা-মা’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারে গরফা থানার পুলিশ।

ইতিমধ্যেই এই মামলায় পল্লবীর ভাই জিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গরফা থানার পুলিশ। সাগ্নিকের রাজারহাটের কল সেন্টারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল জিৎ-এর। সেখানে ঠিক কী ধরণের কাজ হত তা জানতে চায় পুলিশ, পাশাপাশি ঐন্দ্রিলা-সাগ্নিকের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

যদিও পুলিশি জেরায় ঐন্দ্রিলার নামে তেমন কোনও অভিযোগ আনেনি জিৎ। পল্লবীর সঙ্গে কোনওরকম মোটা টাকার লেনদেন না হলেও, সাগ্নিকের নিজের আয় নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। আয়ের যে হিসাব সে দিয়েছে তার চেয়ে সাগ্নিকের আয় অনেকটাই বেশি, এমনটাই সন্দেহ তাঁদের।

সূত্র বলছে, সাগ্নিকের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোনও বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে সে জড়িত কিনা তাও দেখা হচ্ছে। সাগ্নিকের কল সেন্টারের নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে, সেখানকার কর্মীদেরও প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

কম বয়সে এত বিলাসবহুল জীবনযাত্রা কী করে সাগ্নিক-পল্লবীর? কোথা থেকে আসত সেই টাকা? পল্লবীর আয়ের হিসাবও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে আত্মহত্যাই করেছেন নায়িকা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করছে না পুলিশ।