আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের মৃত্যুদণ্ড!

আন্তর্জাতিক

মারিওপোলে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজভস্টালের লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় দীর্ঘ প্রতিরোধের পর আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে রুশ নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডোনেৎস্কের একজন রুশপন্থী বিদ্রোহী নেতা।

গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের আইনমন্ত্রী ইউরি সিরোভাৎকো বলেন, বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনারা আমাদের এলাকায় রয়েছে। তার মধ্যে আজভস্টলে আত্মসমর্পণ করা প্রায় আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনাও রয়েছে। শিগগিরই তাদের বিচার করা হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য আমাদের এখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, আজভস্টলে লড়াই করছিল ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্স আজভ রেজিমেন্ট। রাশিয়া অনেক আগে থেকেই এদেরকে নব্য নাৎসি ও সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যা দিয়েছে। ফলে যুদ্ধবন্দীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জেনেভা কনভেনশন আজভ রেজিমেন্টের সেনাদের ক্ষেত্রে না-ও মানতে পারে মস্কো।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর ১৬ মে থেকে আজভস্টাল কারখানায় থাকা আজভ রেজিমেন্টের যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করতে শুরু করে। কয়েকদিনে কমান্ডারসহ মোট ২ হাজার ৪৩৯ জন সেনা আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে গাড়িতে করে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর মারিওপোলে এসে রুশ বাহিনী বড় ধরনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। বন্দর শহরটির আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্রে ঘাঁটি গেড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেনীয় সেনার বিশেষ বাহিনী আজভ রেজিমেন্ট ও ৩৬ মেরিন ব্রিগেড।

রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাটি অক্ষত রাখতে চেয়েছিল। তাই এতে খুব বেশি হামলা চালায়নি। তারপরও খাবার-পানীয় ও গোলাবারুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসায় বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সে সময়ই রাশিয়ার কট্টরপন্থী নেতারা দাবি করেছিল, ইউক্রেনীয় সেনাদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক। এদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।