প্রতিদিন মরছে ১০০ ইউক্রেনীয় সেনা, আহত হচ্ছে ৫০০!

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত ও ৫০০ জন করে আহত হচ্ছেন। ভয়াবহ এই তথ্য দিয়েছেন খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি মার্কিন মিডিয়া নিউজ ম্যাক্সকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অবস্থা আগের চেয়ে ভয়াবহ খারাপ। টিআরটি ওয়ার্ল্ড

তিনি জানান, তীব্র কামান এবং বিমান থেকে বোমাবর্ষণসহ দীর্ঘ অবরোধের পর রাশিয়ান বাহিনী সেভেরোডোনেস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ প্রায় নিয়ে নিয়েছে। শহরটিতে রুশ বাহিনী ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেন সরকার জানায়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন ৩০ হাজারের বেশি সৈন্য হারিয়েছে।

সেভেরোডোনেস্কের ৮০ শতাংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে: ইউক্রেনের একজন আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, রুশ সেনারা প্রধান শহর সেভেরোডোনেস্কের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের সাথে ভয়ংকর সড়ক লড়াইয়ের মাধ্যমে রুশ সেনারা অগ্রসর হচ্ছে। কিছু জেলায় ইউক্রেনীয় সেনারা রুশদের পিছু হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

মার্কিন অস্ত্রের অপেক্ষায় কিয়েভ: রাশিয়ান সেনাবাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহর সেভেরোডোনেস্ক দখলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কিয়েভ তাদের শত্রু বাহিনীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। তারা মূলত প্রতিরক্ষা সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও উন্নত রকেট ব্যবস্থা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্গেই গেইডে টেলিগ্রামে ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের অবস্থান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। দুই বা তিন দিনের মধ্যে রাশিয়ানরা সেভেরোডোনেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দখলের পর রুশ বাহিনী কামান ও মর্টার স্থাপন করবে এবং লাইসিচানস্কে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করবে।

রুশ বাহিনীর দখল করা অঞ্চল শিগগির রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। রাশিয়া ডনবাস অঞ্চল দখল করে নিজ অঞ্চল হিসেবে পেতে চাচ্ছে। কিয়েভ দখলে ব্যর্থতার পর তারা মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চাপ বাড়িয়েছে এবং দখল করেছে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহরগুলো।