সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জিতলেন জনি, পাচ্ছেন ১১৭ কোটি টাকা

বিনোদন

সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় জিতে গেলেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ।

আদালতে জুরিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জনি ডেপ ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং অ্যাম্বার হার্ড দুই মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন।

পত্রিকায় কলাম লিখে সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। এর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন ডেপ। পরে পাল্টা মামলা করেন হার্ড।

হলিউডের এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু এবারের মানহানি মামলার জের ধরে ছয় সপ্তাহের শুনানিতে তাদের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্কের নানা দিক বেরিয়ে আসে।

ভার্জিনিয়ার এই আদালতে মূলত উঠে এসেছে এই তারকা জুটির ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বিবাহিত জীবন ও এর অসুখী সমাপ্তির বর্ণনা।

আদালত থেকে সরাসরি প্রচারিত এই মামলার দিকে নজর ছিল সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষের।

জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, আমেরিকার মানুষ গত কিছুদিন অন্য যে কোনো খবরের চেয়ে এই জুটিকে ঘিরে আদালতে যত নাটকীয়তা হয়েছে সেগুলো নিয়েই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলো।

অসংখ্য মানুষ টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মামলার কার্যক্রম সরাসরি দেখেছে।

উভয় পক্ষ থেকে শোনার পর বুধবার আদালতে জুরিরা বলেছেন যে, মিস হার্ড যে অভিযোগ করেছিলেন তা অসত্য এবং তিনি যা করেছেন তা বিদ্বেষপ্রসূত।

জনি ডেপের আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরেন যে মিস হার্ডের মানহানিকর বক্তব্যের কারণে জনি ডেপ সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি কলামে জনি ডেপকে ইঙ্গিত করে তার সাবেক স্ত্রী সহিংসতার অভিযোগ তুলে ধরার পর ডেপ চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ হারান।

জনি ডেপের আইনজীবীরা তার সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার বিষয়টিকেও সামনে তুলে এনেছেন।

অবশ্য জুরিরা একটি ক্ষেত্রে ডেপের বিরুদ্ধে মিস হার্ডকে অবমাননার একটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। যেখানে ডেপের সাবেক আইনজীবী যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকায় একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন।

শেষ পর্যন্ত সাত সদস্যের জুরি বোর্ড যখন রায়টি দিচ্ছিলো তখন আদালতের বাইরে মিস্টার ডেপের ভক্তরা চিৎকার করছিলো ‘জনি’ ‘জনি’।

জনি ডেপ আদালতে ছিলেন না তার পূর্ব নির্ধারিত কাজে ব্যস্ততার জন্য। তবে বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘জুরিরা আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি সত্যিই অভিভূত।’

‘সত্য কখনো হারায় না,’ বলছিলেন তিনি।

অন্যদিকে অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড এক বিবৃতিতে জুরিদের সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তার দাবি জুরিরা তার পক্ষে থাকা প্রমাণগুলোকে উপেক্ষা করেছেন।

‘আমি দুঃখিত যে মামলায় হেরেছি। কিন্তু আমি আরো দুঃখিত এই কারণে যে আমেরিকান হিসেবে মুক্তভাবে কথা বলার যে অধিকার আমার আছে- মনে হচ্ছে সেটিই আমি হারিয়েছি।’

মিস হার্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি জুরিদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন।