পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির মধ্য দিয়ে স্বগর্বে ফিরেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
শনিবার স্বপ্ন, সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ছিলেন। এ সময় তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।
আবুল হোসেন ছাড়াও এ সময় সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সেই অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোট বোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী। তারা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
সুধী সমাবেশ শেষ করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে তিনি নিজে টোল প্রদান করেন।
পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সড়কপথের শুভ উদ্বোধন করেন। মোনাজাতের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। সকাল ১০টায় সভা মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনকে সরে যেতে হয় শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভার থেকে। তখন থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। পদ হারিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ও পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাননি দলীয় মনোনয়ন।