বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেই বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগ

দেশ জুড়ে

দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এতে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের। ঝরে পড়ারোধ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রী তার নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পারলে পড়াশোনাকালীন বিদ্যালয়ে মাসিক বেতন দিতে হবে না।

এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের খবর দিলে তারও তিন মাসের বেতন মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা এসএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আসন্ন ঈদ কেন্দ্র করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত শনিবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে বাল্যবিয়ের শিকার হন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায়।

বাল্যবিয়ের শিকার ও ঝরেপড়া রোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার ফলদার এসএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত।

এ জন্য ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একজন করে শিক্ষার্থী নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া দুজন শিক্ষক নিয়মিত ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। গ্রামের কোনো ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হলেই গঠিত টিম বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। বিদ্যালয়ে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

ফলদা এসএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও আমরা শিক্ষকরা ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। এ ছাড়া ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেয়, যাতে তারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে ঝরে না পড়ে।

তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা যাতে তাদের সন্তানদের বাল্যবিয়ে না দেয় সেটির কুফল ও আইন সম্পর্কে জানায়। বিদ্যালয়ে একটি টিমের মাধ্যমে আমরা এই কাজগুলো করি।

ফলদা এসএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন, গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হয় বেশি। বাল্যবিয়ে রোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।