কমেছে ডিম-মুরগির দাম, জানুন আজকের বাজার

দেশ জুড়ে

বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ। কাঁচা মরিচসহ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সবধরনের সবজির দাম। অন্তত তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি অন্তত বৃদ্ধি পেয়েছে ত্রিশ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় উৎপাদনও কম, ফলে দাম বাড়তি।

শুক্রবার বসুন্ধরার কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০, উচ্ছে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬-, কুশি ৪০- থেকে ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, কাকরল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গাজর ৪-৫ দিন আগে ২০০টাকা কেজি থাকলেও এখন দাম কমে ১৪০ টাকা আর দেশি গাজর ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গত তিন দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। অর্থাৎ, তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৩০ টাকা।

ঈদের আগে ও পরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম দাঁড়িয়েছিল ১২৫-১৩০ টাকা ডজন, যা কমে হয়েছে ১২০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
নগরীর শের-এ বাংলা রোডস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। তবে পাইকারী বাজারে যখন সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে তখন খুচরা বাজারেও দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

নগরীর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ আলী হোসেন বলেন, ‘পাইকারী বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সবরবাহ অনেক কম। আমদানী কম থাকায় বেশি দামে সবজি কিনতে হয়।’

বাজার করতে আসেন জাহিদুল ইসলাম মলি­ক। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘সবজির মূল্য কিছুটা কম থাকলেও দুই-তিন দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক।’ বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।