তেল রপ্তানি আর না বাড়াতে মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রীর অনুরোধ

আন্তর্জাতিক

টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে করে বিশ্বজুড়ে বহু খাত ক্ষতির মুখে পড়লেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেল ও জ্বলানিখাত। আর এই পরিস্থিতিতে এবার পেট্রোল এবং ডিজেলের মতো তেলের রপ্তানি আরও না বাড়াতে অনুরোধ করেছেন মার্কিন জ্বলানি মন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তেল পরিশোধকদের প্রতি এই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এমনকি পরিশোধন কারখানাগুলো কথা অনুযায়ী না চললে বাইডেন প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই মন্ত্রী। রোববার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া এবং বৈশ্বিক জ্বালানির চাহিদা পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকায় মার্কিন শোধনকারীরা এই মাসে তেল পণ্য রপ্তানি বাড়িয়েছে।

রয়টার্স বলছে, মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম গত ১৮ আগস্ট ভ্যালেরো, এক্সনমবিল এবং শেভরন-সহ সাতটি পরিশোধক কোম্পানির কাছে একটি চিঠি পাঠান। এতে যুক্তরাষ্ট্র হারিকেনের মৌসুমে প্রবেশ করেছে জানিয়ে তাদেরকে জ্বালানি সরবরাহ তৈরি করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রীর পাঠানো চিঠির একটি কপি রয়টার্স দেখেছে। সেখানে জেনিফার গ্রানহোম বলেছেন, ‘মার্কিন পরিশোধিত পণ্য রপ্তানি ঐতিহাসিক স্তরে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বর্তমান মজুদ বিক্রি এবং রপ্তানি আরও বাড়ানোর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে ইনভেন্টরি তৈরির দিকে মনোনিবেশ করার জন্য আপনাদের আবারও অনুরোধ করছি।’

বার্তাসংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের গ্রীষ্মে মার্কিন তেল পণ্য রপ্তানির উচ্চ হার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাসোলিনের দাম সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও প্রতি গ্যালন ৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। অবশ্য এরপর গ্যাসোলিনের দাম কিছুটা কমে প্রতি গ্যালনপ্রতি প্রায় ৩.৮৬ ডলারে নেমে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আবহাওয়া বিভাগের কর্মীরা আটলান্টিকে হারিকেন মৌসুমে বিষয়ে গড় অনুমান সামনে এনেছেন। এটি মার্কিন শোধনাগারগুলোর জন্যও একটি বিপজ্জনক সময় হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে পেট্রোলের উচ্চ-মূল্য এখনও বাইডেনের দলীয় ডেমোক্র্যাটদের জন্য হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। কারণ মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার আশা করছে করে ডেমোক্র্যাটরা।