পাকিস্তানে বন্যায় প্রাণহানি হাজার ছাড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি এক হাজার ছাড়িয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তার আবেদন করেছে দেশটি।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্যরা পাকিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করেছে। তবে আরও অনেক তহবিল প্রয়োজন বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালমান সুফি বিবিসিকে বলেন, ‘পাকিস্তানের আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার। পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমস্যা যখন কাটিয়ে উঠছিল তখনই বন্যার আঘাত এসেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ এখন বন্যাকবলিতের সহযোগিতায় ব্যয় করা হচ্ছে’।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি অংশ বন্যায় প্লাবিত। খাইবার-পাখতুনখাওয়া, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশে বর্ষণ ও বন্যাজনিত কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩ কোটির বেশি। তাদের মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ খাদ্য ও আশ্রয় হারিয়ে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

এর মধ্যেই শনিবার সিন্ধু প্রদেশের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতে নাগরিকদের অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ২৩ বছর বয়সী জুনায়েদ খান বলেছেন, ‌‘আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছি, তা চোখের সামনে ডুবতে শুরু করেছে। রাস্তার পাশে বসে স্বপ্নের বাড়িটি ডুবতে দেখেছি’।

দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের সিন্ধু প্রদেশও বন্যার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে।