ঘটনার নতুন মোড়, সাবেক প্রমিকাকে ঘিরেই শিক্ষিকার নির্মম হত্যাকান্ড স্বীকার করল মামুন!

দেশ জুড়ে

প্রথম স্বামীর সঙ্গে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪০) মোবাইলে কথা বলতেন। এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্বামী মামুন (২২) বহুবার নিষেধ করেছেন। কথা না শোনায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে শনিবার (১৩ আগস্ট) স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় মামুনের। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে আটক মামুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। সময় ও ডিবিসি টিভি এদিকে ঘটনার পর নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পিবিআই পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন ও সহকারী পুলিশ সুপার মহসিনসহ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় পিবিআই পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন বলেছেন, সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত অগ্রসর হলে এ বিষয়ে পরিস্কার কিছু বলা যাবে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেছেন, বিষয়টি আত্মহত্যার মতোই মনে হচ্ছে। সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে যেভাবে ওড়না আগুন দিয়ে পুড়িয়ে খায়রুন নাহারকে তার স্বামী নামিয়েছেন এটা বিশ্বাসযোগ্য। কাপড় এবং ফ্যানের কিছু অংশ পোড়া অবস্থায় দেখা গেছে।

তারপরও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত স্বামী মামুন বাইরে থাকাসহ সবগুলো পয়েন্ট মাথায় রেখেই পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। জানান, যে রাতে আমার মা মারা যায়, সেই রাতে ১১টার কিছু আগে আম্মুকে ফোন দিয়েছিলাম আমি। তিনি দুই পাওয়ারের আটটি (চলমান .৫ মাত্রার ৩২টি) ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন বলে জানায় বৃন্তকে। এর বাইরে আর কথা বলতে পারেননি তিনি। বিষয়টি শোনার পর তিনি মামুনকে ফোন দেন। এসময় মামুন বৃন্তকে জানায়, একটা কথা হলেই সে ঘুমের ওষুধ খায়, এসময় মামুন তাকে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলে। পরদিন সকালে মামুন ফোন করে তাকে জানায় তার মা আত্মহত্যা করেছেন।