পাঁচ দিন নিষিদ্ধ পল্লীতে ছিলেন নিপুণ, কারণ জানালেন নিজেই

বিনোদন

তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। তিনি আবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন সুনিপুণ হাতে। সেই নিপুণকে নাকি পাঁচ দিন একা দেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয় দৌলতদিয়ায় গিয়ে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু কেন? কী এমন প্রয়োজন পড়েছিল নায়িকার, যে তাকে ওই নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়ে থাকতে হয়েছিল।

এর জবাব নিপুণ নিজেই দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। আসলে, ‘বীরত্ব’ নামের একটি সিনেমায় যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন এই নায়িকা। যেটি পরিচালনা করেছেন নবাগত ও তরুণ নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানা। এর চিত্রনাট্য এবং সংলাপও তার লেখা। পিং পং এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর।

সে উপলক্ষে বর্তমানে প্রচারণায় ব্যস্ত ‘বীরত্ব’ টিম। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নিপুণ আক্তার। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘বীরত্ব’তে যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল তার কাছে। অভিজ্ঞতা এবং যাত্রাটাই বা কেমন ছিল।

উত্তরে নিপুণ বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং তো অবশ্যই ছিল। আমি কখনো যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করিনি। আমাকে পাঁচ দিন পতিতালয়ে রাখা হয়েছিল। এই পাঁচ দিন ওখানে থেকে যৌনকর্মীদের জীবনাচরণ শিখতে হয়েছিল। সিনেমায় আমার চরিত্রটা যৌনকর্মীর হলেও হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের একটা ব্যাপার আছে। আমি একজন যৌনকর্মী কিন্তু সমাজের এই ব্যাপারগুলাকে প্রটেক্ট করি।’

পাঁচ দিন পতিতালয়ে থাকার পর মোট ১৫ দিন দৌলতদিয়ায় তিনি শুটিং করেছিলেন বলে জানান নিপুণ আক্তার। এমন চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নায়িকা বলেন, ‘এটা আসলে একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সেটা দেখার জন্য আপনাদের হলে আসতে হবে।’ তার পুরো শুটিংয়ে কোনো সেট নির্মাণ হয়নি উল্লেখ করে নিপুণ বলেন, ‘একদম পতিতালয়েই শুটিং হয়েছে।’

নিপুণ আরও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌনকর্মীদের ভোটার করেছেন। ‘বীরত্ব’ সিনেমাতে আপনারা তারই কিছু অংশ দেখতে পাবেন। যৌনকর্মীদের জন্য কখনো কোনো ডাক্তার ছিল না। এখন কিন্তু এনজিও নিয়োগ করা হয়েছে। ওখানে ট্রিটমেন্ট হয়। যৌনকর্মীদের বাচ্চারা কখনো স্কুলে যেতে পারত না। ওদের জন্য এখন স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

অভিনেত্রী সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘গলুই’, ‘শান’, ‘দিন: দ্যে ডে’, ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ দেখে আপনারা যে স্বস্তি পেয়েছেন, ‘বীরত্ব’ সিনেমাটা দেখেও আপনারা সেই স্বস্তিটা পাবেন।’ এই সিনেমায় নিপুণের বিপরীতে একজন দালালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার অভিনেতা ও অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম।

সাইদুল ইসলাম রানার প্রথম সিনেমা ‘বীরত্ব’তে নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় আছেন মামনুন হাসান ইমন ও নবাগত নিশাত নাওয়ার সালওয়া। তাদের দুজনকেই দেখা যাবে চিকিৎসকের ভূমিকায়। এছাড়া খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। আরও আছেন বড়দা মিঠু ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।