রনির প্রার্থনায় মীরাক্কেল পরিবারের

বিনোদন

আবু হেনা রনি নাটোরের তরুণ। তিনি কৌতুকের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ওস্তাদ। কিন্তু দেশজোড়া পরিচিতি এসেছিলো ওপার বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল’-এর সুবাদে। শুধু দেশেই নয়, মীরাক্কেলের মঞ্চে সেরা হয়ে ওঠার সুবাদে পশ্চিমবঙ্গেও দারুণ পরিচিতি লাভ করেন রনি।

সেই রনি যখন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায়, তখন তার জন্য উদ্বিগ্ন ওপারের মানুষও। তার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রার্থনায় সরব মীরাক্কেল পরিবার।

‘মীরাক্কেল’-এর সঞ্চালক মীর আফসার আলী তার ফেসবুক পেজে রনির জন্য দোয়া চেয়ে লিখেছেন, ‘আবু হেনা রনি নিজেই আগুন। ওকে পোড়ায় কার সাধ্য? দোয়া করবেন সবাই।’

এই রিয়্যালিটি শো’র পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কথা হয়েছে ওর ম্যানেজারের সঙ্গে। এখন আগের থেকে ভালো আছে জানিয়েছেন। দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’

রনি যখন মীরাক্কেলের প্রতিযোগী ছিলেন, তখন অনুষ্ঠানটির অন্যতম বিচারক শ্রীলেখা মিত্র দারুণ পছন্দ করতেন তাকে। রনির হাস্যোজ্বল মুখ আর অনবদ্য সব কৌতুকে মুগ্ধ হতেন গুণী এ অভিনেত্রী। তাই রনির সুস্থতা কামনা করে তিনি বললেন, ‘আবু হেনা রনি, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ বাবু।’

গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালে বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পাঁচ জন দগ্ধ হয়। সেই পাঁচজনের একজন আবু হেনা রনি। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আইয়ুব হোসেন জানিয়েছেন, আবু হেনা রনির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালি এবং এক পাশের কানও পুড়ে গেছে। এ কারণে তাকে শঙ্কামুক্ত বলতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার সিজন ৬’-এ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। সে আসরে একের পর এক পরিবেশনায় বাজিমাৎ করেন আবু হেনা রনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের ভিকি-পার্থ’র সঙ্গে দ্বৈতভাবে চ্যাম্পিয়ন হন রনি।