সৌদি-চীনের কাছ থেকে ১১০০ কোটি ডলার সহায়তা চায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক

কয়েক বছর ধরেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এ থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নেওয়াসহ নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটি। এবার সংকট কাটিয়ে উঠতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ সৌদি আরব ও চীনের কাছ থেকে ১১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদে সিনেটর সেলিম মান্ডভিওয়ালার সভাপতিত্বে অর্থ ও রাজস্ববিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. শামশাদ আখতার এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার চীন ও সৌদি আরবের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় সহায়তার অংশ হিসেবে ১১০০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। পাশাপাশি সৌদি আরবের কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।

 

বিদেশি অর্থসহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার এলে বৈদেশিক সহায়তার গতি অনেকটাই বাড়বে। তাছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প ‘বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামকে’ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে না রেখে প্রাদেশিক সরকারের কাছে স্থানান্তরের বিষয়েও আলোচনা করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

অর্থমন্ত্রী ড. শামশাদ আখতার বলেন, বাইরের দেশগুলো থেকে অর্থায়নের চাহিদা পূরণে আমরা বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো বিভিন্ন বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৩০ কোটি ডলার তহবিল সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করছি। আইএমএফ এরই মধ্যে আমাদের জন্য ৩০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে ও আরও প্রায় ১০০০ কোটি ডলার সহায়তা আশা করছি আমরা।

 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন ও দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সহায়তা পাওয়ার বিষয় নিয়ে জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই যেন একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা দাঁড় করানো যায়, সেই লক্ষ্যে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

তাছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইএমএফের শর্ত পূরণে খুচরা বাজার, কৃষি ও আবাসন খাতকে করের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছে। পাশাপাশি মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

সূত্র: দ্য ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন