কনের বাড়িতে সংঘর্ষে বরসহ আহত ১৭

কনের বাড়িতে সংঘর্ষে বরসহ আহত ১৭

চট্টগ্রাম দেশ জুড়ে

বান্দরবানের লামায় কনের বাড়িতে চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষে ঘটনায় বরসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিলেরতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- আলীকদম উপজেলার সদরের বাজারপাড়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে বর নাজুমল ইসলাম, উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিলেরতুয়া গ্রামে কনের বাবা মো. হাসান (৫০), মা সালমা বেগম (৪০), একই এলাকার সর্দার আব্দুল মন্নান (৪৮), মো. রফিক (৪২), সাইফুল ইসলাম (৫২), বাজারপাড়া এলাকার মো. বাদশা মিয়া (২৫), মো. রবিউল (১৭), ঈমাম মেহেদী (১৮), মো. এরফান (২২), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২১), সাঈম (১৭) মনি আক্তার (৫০), রেজিয়া বেগম (৬৫) ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার মো. ইউসুফ (৩০), মো. আবু দাউদ (৪০)।জানা গেছে, বুধবার উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের শিলেরতুয়া এলাকায় হাসানের মেয়ের সঙ্গে নাজুমল ইসলামের বিয়ের দিন ছিল। বিকেলে খাওয়া-দাওয়া শেষে মৌলভী দুজনের বিয়ে পড়াচ্ছিলেন।

 

এ সময় এলাকার সর্দার চাঁদার প্রসঙ্গ তোলেন। একপর্যায়ে চাঁদা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের সঙ্গে সর্দার আব্দুল মন্নানের হাতাহাতি হয়।পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মুহূর্তে ৬০/৭০ জন লোক এসে বরপক্ষের মেহমান ও কনের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে বর ও কনেপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলায় অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় এবং প্রচুর খাবার নষ্ট হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।কনের মা সালমা বেগম বলেন, এলাকার সবাই ডাকাত। এলাকার সবাইকে দাওয়াত দিতে পারি নাই বলে এ ঘটনা ঘটেছে।
কনেপক্ষের অভিযোগ, হামলাকারী ভাঙচুরের পাশাপাশি বিয়ের মালামাল ও মেয়েদের গা থেকে স্বর্ণের গয়না লুট করে নিয়ে গেছে।

মেয়ের মামা মো. ইলিয়াছ বলেন, মন্নান সর্দার এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত মো. রফিক বলেন, বিয়ে বাড়িতে চাঁদা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়ে বরপক্ষের লোকজন বড় ভাই সর্দারের গায়ে হাত তোলেন। আমাদের তিনজনকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এলাকার লোকজন শুনে কি করেছে আমরা জানি না।

লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শামীম বলেন, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরে কনেকে তার বাবা মায়ের উপস্থিতিতে নিরাপদে বরের গাড়িতে তুলে দেয়া হয় এবং তারা নতুন বউকে নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থানায় মামলা করলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।