হোম অফিস বাতিল করায় চাকরি ছেড়ে হারালেন ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা

হোম অফিস বাতিল করায় চাকরি ছেড়ে হারালেন ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা

আন্তর্জাতিক

অ্যামাজন কর্মীদের হোম অফিসের পরিবর্তে সশরীর অফিস করার ঘোষণা দেওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন এক কর্মী। আর এ কারণে ওই কর্মীকে প্রায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা (২ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার) ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছে।

অ্যামাজনের সাবেক ওই কর্মী সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। রিমোট কর্মী হিসেবেই তাঁর নিয়োগ ছিল। তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎ তাঁকে সশরীর অফিসে আসার ঘোষণা দিয়ে বদলির কথাও বলা হয়। কিন্তু শুধু চাকরির জন্য তিনি স্বপ্নের জীবন ত্যাগ করতে বাধ্য হননি। এ কারণে তাঁর পাওনা বেতন থেকে ২ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার কেটে নেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক এই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের এপ্রিলে কোভিড মহামারির সময় তিনি অ্যামাজনে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি সেখানে সম্পত্তি কিনেছেন। এ কারণে সে স্থান ছেড়ে অন্য স্থানে যাওয়ার কোনো মানসিকতা তাঁর ছিল না।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যামাজন কর্মীদের সশরীর অফিসে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে বলে একটি আদেশ জারি করেছিল। ওই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার বলেছেন, আদেশটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দলগুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।অ্যামাজনের সাবেক ওই কর্মী বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কিছু ব্যবস্থাপক দ্রুত আদেশটি বাস্তবায়ন করেছিলেন।

এ কারণে কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেপারেননি। কিন্তু তাঁকে হোম অফিস বাতিল করে নিউইয়র্ক থেকে প্রায় তিন হাজার মাইল দূরে সিয়াটলে বদলি করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে এ কারণে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে আসন্ন ক্ষতির কথা ভেবে তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছেন। হঠাৎ এই বদলির কারণে তিনি ও তাঁর পরিবার প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ টাকা (১ লাখ ৫০ হাজার ডলার) ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কাছে এই বদলি প্যাকেজ চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। পরে তিনি নিজেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন।অ্যামাজনের সাবেক ওই কর্মী বর্তমানে একই বেতনে নতুন একটি চাকরিতে যোগদান করেছেন।

 

 

অ্যামাজনের মুখপাত্র ব্রাড গ্লাসার বলেছেন, ‘আমরা বারবার আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। গত ফেব্রুয়ারিতে আমরা কর্মীদের জানিয়েছিলাম, মে মাস থেকে সপ্তাহে তিন বা তার বেশি দিন অফিসে আসা শুরু করতে হবে। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, এটি দীর্ঘমেয়াদি ভালো ফল দেবে।’