নতুন জুতা পরে পায়ে ফোসকা পড়েছে? ঘরোয়া চিকিৎসাতেই মিলবে আরাম

নতুন জুতা পরে পায়ে ফোসকা পড়েছে? ঘরোয়া চিকিৎসাতেই মিলবে আরাম

স্বাস্থ

অনেক সময় দেখা যায় নতুন জুতা পরে হাঁটাহাঁটি শুরুর পরে পায়ে জ্বালাযন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। তখন সবার সামনে জুতা খুলে ফেলাও যায় না, আবার জুতা পরে থাকাটাও হয়ে দাঁড়ায় কষ্টকর। নতুন জুতায় পায়ের গোড়ালিতে সাধারণত সবচেয়ে বেশি ফোসকা পড়ে। এরপর বেশি পড়ে বুড়ো আঙুলের নিচে আর কড়ে বা কানি আঙুলের পাশে। একবার ফোসকা পড়ে গেলে সেই জুতা কদিন পায়ে না দেওয়াই উত্তম

টোটকা
ফোসকা গভীর হলে কিংবা তা থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হলে চিকিৎসককে দেখাতে হবে। তবে ফোসকার আরামের জন্য কিছু টোটকা আছে। চলুন, জেনে নিই— সবার ঘরেই নারকেল তেল বা মধু থাকে। ফোসকার ওপর নারকেল তেল বা মধু দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে যায়।
বরফ ঘষলেও আরাম পাওয়া যায়।
কারও কাছে অ্যালোভেরা জেল থাকলে ফোসকায় লাগিয়ে নিতে পারেন। জেল শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গ্রিন–টি ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে সেই পানি ব্যবহার করলেও ফোসকাতে আরাম পাওয়া যায়।

 

 

প্রতিরোধের উপায়
সাধারণত চামড়ার জুতাতেই ফোসকা বেশি পড়ে। তাই নতুন জুতা কিনে পরার আগের রাতে জুতার ভেতরের শক্ত অংশগুলোতে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারকেল তেল ঘষে রাখুন। তাহলে জুতা কিছুটা নরম হবে। এতে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা কমে যায়।
জুতা পরার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারকেল তেল মেখে নিতে পারেন। এতেও পা আঘাত থেকে রক্ষা পাবে।অনেকেই পছন্দের জুতা মাপমতো না পেলে এক সাইজ ছোট জুতাও ব্যবহার করেন। এটা কখনো করা উচিত নয়। সঠিক মাপের জুতা না পেলে অন্য জুতা পরবেন। এ ছাড়া নতুন জুতা পরে দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। কয়েক দিন ব্যবহারের পর তা পায়ের সঙ্গে খাপ খেয়ে যাবে, তখন সেটা পরে নিয়মিত হাঁটতে পারবেন।এই নিয়মগুলো মেনে চললে নিশ্চিন্তে আপনি নতুন জুতা পরতে পারবেন।