ওজন কমবে এই ৭ নিয়মে

ওজন কমবে এই ৭ নিয়মে

স্বাস্থ

একবার ওজন বাড়তে শুরু করলে কমাতে এই ডায়েট, সেই ডায়েট—কত কিছুই–না করা হয়। ওজন খুব বেশি বেড়ে গেলে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া আর সম্ভব নয় ভেবে হাল ছেড়ে দেন অনেকে। কিন্তু ওজনের সমস্যা ব্যতীত যাঁদের তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা নেই, তাঁরা কিছু বিষয় মেনে খুব সহজেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন দুজন বিশেষজ্ঞ—বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামছুন্নাহার নাহিদ এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী তাসনিম হাসিন।

 

১. এখন প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন, তার পরিমাণ কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন। তাসনিম হাসিন বলেন, ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ প্রতিদিন কম হলেও ৫০০ গ্রাম করে কমাতে হবে। কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালরি আছে, এ বিষয়ে জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ওজন কমানোর সময়টায় লোভ করা যাবে না। অতিরিক্ত ক্যালরির খাবার, যেমন পোলাও, বিরিয়ানি—এসব একদম খাওয়া চলবে না। স্বাভাবিক খাবার পরিমাণমতো খেতে হবে।

২. ওজন কমাতে অনেকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা দিনের একটা নির্দিষ্ট লম্বা সময় ধরে না খেয়ে থাকেন। তাসনিম হাসিন বলেন, এতে শরীর পানি ও পুষ্টিশূন্যতায় ভুগতে পারে। তাই এ কাজ করা যাবে না। ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হতে না চাইলে শরীরের সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। ভিটামিন-মিনারেলস ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। আবার এক বেলায় একবারে বেশি খাওয়া যাবে না। অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে।

৩. ওজন কমাতে না জেনেবুঝে কিটো ডায়েট না করাই ভালো বলে জানালেন তাসনিম হাসিন। কেননা, এ ধরনের ডায়েটে হঠাৎ ওজন কমে গেলেও তা খুব দ্রুত ফিরে আসে। অনেক সময় দ্বিগুণ হয়েও ফিরে আসে।

৪. জটিল শর্করা, যেমন বীজ, মটর, শস্য ও সবজিজাতীয় খাবার খেতে হবে। এ পরামর্শ দেন শামছুন্নাহার নাহিদ।

৫. প্রোটিন বাদ দিলে পেশি কমে, ওজন নয়। তাই চর্বিবিহীন প্রোটিন খেতে হবে। এগুলো হলো সামুদ্রিক সাদা মাছ, গ্রিক দই, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, চামড়াহীন সাদা মুরগি, চর্বিহীন পনির, টোফু, পিনাট বাটার।

৬. খাবারে তেলের পরিমাণ একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। রান্নায় যতটুকু তেল না দিলেই নয়, ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে।

৭. জোরপূর্বক না খেয়ে শুয়েবসে থেকে সুস্থভাবে ওজন কমানো সম্ভব নয়। তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মেদ ক্ষয় করতে প্রতিদিন অল্প হলেও ব্যায়াম করতে হবে।