ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ভোট দেওয়া যাবে না

ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ভোট দেওয়া যাবে না

দেশ জুড়ে রাজনীতি

ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা ব্যবহারের আগে যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আয়োজিত মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই ভোটার নয়’ এ বিষয়ে নির্মিত বিজ্ঞাপন বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া এবং বেতার ও টেলিভিশনে প্রচার করতে হবে। এটি বাস্তবায়ন করবেন কমিশন জনসংযোগ শাখার পরিচালক।নির্বাচন কমিশন ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে থাকে।

 

 

তবে তারা ভোটার নয়। তিনিই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন যিনি বাংলাদেশি নাগরিক, আঠারো বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী (অর্থাৎ ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকগণ), সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকার/নির্বাচনী এলাকার অধিবাসী এবং যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।যারা ভোট দিতে পারবেন না, তারা হলেন যদি ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকে, ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী নাগরিকগণ, আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত ব্যক্তি, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত ব্যক্তি।

 

 

এদিকে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কমিশন সচিবালয়ের অনুবিভাগ থেকে পাঠানো ভোটার তালিকা যথাযথ যাচাই-বাছাই করে ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ কে এম হুমায়ুন কবীরকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।সভায় এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সম্পূরক ভোটার তালিকা মাঠ পর্যায়ে খুব শিগগিরই প্রদান করা হবে এবং প্রাপ্ত তালিকা মাঠ পর্যায় থেকে যাচাই-বাছাই করে সঠিক আছে মর্মে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালের হালনাগাদ করা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলমান থাকায় কমিশনের অনুমোদন নিয়ে যথাসময়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে খসড়া ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে সংরক্ষিত অবিতরণকৃত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপরই বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে।