ভরা মৌসুমেও আলুর দামে অস্থিরতা কাটছে না

ভরা মৌসুমেও আলুর দামে অস্থিরতা কাটছে না

দেশ জুড়ে রাজশাহী

বাজারে নতুন আলু আসার মাস পেরিয়ে গেলেও স্বস্তি মিলছে না দামে। এতে ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। সোমবার নওগাঁয় ৫০ টাকায় এক কেজি নতুন আলু মিললেও মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) তা আবার বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা।ভরা মৌসুমেও একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের ওপর দাম নির্ভর করে।

 

সোমবার সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছিল। তবে মঙ্গলবার কম আমদানি হওয়ায় দাম বেড়েছে।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নওগাঁ শহরের পৌর মার্কেটের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের নতুন আলু ৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।সবজি বিক্রেতা আজমল হোসেন বলেন, একদিনের ব্যবধানে দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নানা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। সোমবার কম দামে কিনতে পেরেছি বলেই বিক্রিও করেছি কম দামে।

 

তিনি আরও বলেন, আজ পাইকারিতেই কিনতে হয়েছে ৫৬-৫৭ টাকা, তাই ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারছি না। অথচ সোমবার সকালে ৫০ টাকা এবং বিকেলে ৪০ টাকা দরেও আলু বিক্রি করেছি।আরেক বিক্রেতা হাসমত আলী বলেন, পাইকারি বাজারেই অস্থিরতা চলছে। তাই আমরাও যেদিন যেমন দামে কিনতে পারছি সেদিন সেভাবে বিক্রি করছি। দুই-এক টাকা লাভ না করলে সংসার চলবে কী করে?বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুর রহমান বললেন, গত বছর এই সময় আলুর দাম ছিল ২০-২৫ টাকা কেজি। অথচ বছরের ব্যবধানে সেই আলু দ্বিগুণের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, এক সময় চালের দাম বেশি হওয়ায় আলু খেয়ে ভাতের ওপর চাপ কমাতে বলা হয়েছিল। এখন দেখার অপেক্ষায় আছি, আলু না খেয়ে আবার বিকল্প কী খেতে বলা হয়।এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, আলুর দাম বৃদ্ধির খবরে বাজার তদারকি করেছি। ব্যবসায়ীদের রশিদ দেখেছি। আজ তাদের পাইকারিতে কিনতে হয়েছে বেশি দামে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। পাইকারি এবং খুচরা দামে বড় ধরনের ব্যবধান চোখে পড়লে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।